কিভাবে জানা যাবে মার্কিন নির্বাচনে কে জয়ী হচ্ছেন?

মার্কিন নির্বাচনে যেহেতু এবার ডাকযোগে প্রচুর আগাম ভোট পড়েছে তাই প্রাথমিক ফলাফলে কে এগিয়ে আছে সেটা বোঝা কঠিন হয়ে দাড়াবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০১৬ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পোস্টাল ভোট পড়েছে।

পোস্টাল ভোট কখন ও কীভাবে গণনা করা হবে তার জন্য একেক রাজ্যে রয়েছে একেক ধরনের আইন। সেকারণে এসব রাজ্য থেকে বিভিন্ন সময়ে ফলাফল পাওয়া যাবে এবং কখনও কখনও সময়ের এই ব্যবধান খুব বেশিও হতে পারে। কিছু কিছু রাজ্যে, যেমন ফ্লোরিডা এবং অ্যারিজোনা, সেখানে পোস্টাল ভোটের গণনা শুরু হয়ে যাবে ৩রা নভেম্বরের ভোটের দিনের আগে। কিন্তু উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়ায় ৩রা নভেম্বরের আগে সেগুলো স্পর্শ করা হবে না। ফলে সেখান থেকে ভোটের ফলাফল দেরিতে আসবে।

এখানে আরো কিছু জটিলতা আছে। পোস্টাল ভোট দেওয়ার সময়সীমা একেক রাজ্যে একেক রকমের। কিছু রাজ্য, যেমন জর্জিয়া, সেখানে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ভোট কর্তৃপক্ষের হাতে এসে পৌঁছাবে সেগুলো গণনা করা হবে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্য, যেমন ওহাইও, সেখানে ৩ তারিখে ভোট দিলেও (অর্থাৎ খামের মধ্যে ৩রা নভেম্বর সিল থাকতে হবে) সেসব ভোট গণনা করা হবে।

এটা আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, কিছু কিছু রাজ্যের সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। ফলে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের নাম কখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে সেটা আগে থেকে ধারণা করা কঠিন।

আগের নির্বাচনগুলোতে এরকম হয়নি। ২০০৮ সালে ফলাফল পাওয়া গেছে পূর্বনির্ধারিত সময়ে। আর ২০১২ সালের ফল পাওয়া গেছে নির্ধারিত সময়ের মাত্র ১৫ মিনিট পর। ২০১৬ সালে আরো একটু দেরি হয়েছিল। পেনসিলভেনিয়াতে জয়ী হওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ