স্বমহিমায় উজ্জ্বল ‘মোহর’;বাজিমাত করছে ‘খড়কুটো’,লড়াইয়ে ফিরেছে ‘শ্রীময়ী’

ওপার বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার, লেখিকা ও পরিচালক লীনা গাঙ্গুলী ৷ বাংলা টেলিভিশনের অঘোষিত সম্রাজ্ঞী; পশ্চিমবাংলা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন,ম্যাজিক মোমেন্টস্ মোশন পিকচার্স প্রোডাকশন সংস্থার মালকিন নাকি সবকিছু ছাপিয়ে শুধুই লেখিকা? কোন পরিচয়টা দিয়ে ঠিকঠাক বোঝানো সম্ভব তাঁকে? উত্তরটা সহজ। এই সবক’টা পরিচয় একসঙ্গে মিলেমিশেই তিনি লীনা গাঙ্গুলী; একজন চূড়ান্ত কাজপাগল মানুষ।ওপার বাংলার ইন্ডাস্ট্রি জানে, দর্শকদের মন হাতের তালুর মতো চেনেন চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর চিত্রনাট্যে এখন পাঁচটি ধারাবাহিক প্রচারিত হয় দুটি চ্যানেলে তন্মধ্যে শুধু স্টার জলসায় চারটি এবং সান বাংলায় একটি ! লীনা গাঙ্গুলীর সেই পঞ্চপাণ্ডবের ধামাকাদার সেরা ত্রয়ীর টেলি রিভিউ আজ কালের কণ্ঠ’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন এস এম রওনক রহমান আনন্দ ৷

মোহর
অনেকেরই প্রিয় স্যার-ম্যামদের প্রতি একটা লুকনো ভালোবাসা থাকে। কিন্তু সব কি আর মুখ ফুটে বলা যায়! কিছু কথা মনেই রয়ে যায়। এই যেমন দর্শকের প্রিয় মোহর। ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দিন রাত ঝগড়া, ভুলবোঝাবুঝি লেগেই রয়েছে, কিন্তু আমি তোমায় ভালোবাসি মুখ ফুটে বলতে পারছে কই? যতবার স্যার আর ছাত্রী কাছাকাছি আসে, ততবারই দর্শকের মনে হয়, এই বুঝি আসল কথাটা বলল, কিন্তু স্যার সেই ‘শুধু তুমি’তেই থেমে যায়।আর তার জেরেই মোহরের টিআরপি এখন তুঙ্গে। কিন্তু কেন শঙ্খ স্যার আর মোহরের এই খুনসুটিতে এত বুঁদ দর্শক?এমনিতেই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে গৃহবন্দি মানুষের মন খারাপ। কিন্তু এই শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেম বেশ মনে ধরেছে দর্শকের। এই না বলা কথা, বলতে চেয়েও বলতে না পারা এই ছোট ছোট বিষয়গুলিই মোহরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।মনের মানুষকে তো অনেকেই ভালোবাসার কথা বলতে চান, শেষপর্যন্ত বলতে পারেন কি? এছাড়াও মোহরের মতন অনেক মেয়েই মফস্বল থেকে পড়তে আসে কলকাতায়। এখানে এসে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, যুদ্ধ করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, একটা চাকরির স্বপ্ন দেখা এসব তো থাকেই। তাই কোথাও একটা শহরতলি থেকে আসা মেয়েদের অনুপ্রেরণাও দেয় মোহর’।  মোহর-শঙ্খের প্রেম, মান-অভিমান, জড়িয়ে থেকেও দূরে থাকা ইত্যাদিই টেনে রেখেছে দর্শকদের।বস্তুত মোহর সিরিয়ালে এখন যা দেখানো হচ্ছে তাতে দর্শকরা অত্যন্ত উত্তেজিত। শঙ্খ স্যারের সঙ্গে মন্দিরে বিয়ে করার পর রোম্যান্স থেকে শুরু করে কাচের গ্লাস মাঝে রেখে চুমু খাওয়া,টেলিপ্যাথি ফুলশয্যা পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু এর পরেই আসে ‘কাহানি মে টুইস্ট’। এখন মোহর-শঙ্খ’র মধ্যে আবারো ভুল বোঝাবুঝি বেড়েই চলেছে ৷ যদিও দর্শক তা দেখতে চাই না আদৌ ৷ পারিবারিক অশান্তি কমাতে ও দূরত্ব ঘোচাতে এখন গল্পে মোহর-শঙ্খ-শ্রেষ্ঠা’র উপাখ্যান রচয়িত হচ্ছে ৷ দুই বাংলার দর্শকরা ভালোবেসে মোহর-শঙ্খকে ‘মোহদ্বীপ’ নামকরণ করেছে ৷ এখন দেখা যাক গল্পের মোড় কোনদিকে নেন লীনা গাঙ্গুলী৷ সপ্তাহের প্রতি সোম থেকে রবি রাত সাড়ে আটটায় স্টার জলসায় মোহর প্রচারিত হয় ৷ মোহর ধারাবাহিকের আইএমডিবি রেটিং ৬ (১০ এর মধ্যে) এবং গুগল ব্যবহারকারীদের শতকরা প্রায় ৭৬ ভাগ দর্শক এটি পছন্দ করে ৷ ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকটি প্রচারের এক বছর অতিক্রম করেছে এবং টিআরপি টেবিলে সেরা দুইয়ে অবস্থান করছে ৷ মোহর ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সোনামণি সাহা,প্রতীক সেন,মধুরিমা বসাক,লাভলী মৈত্র,দুলাল লাহিড়ী,মৌমিতা গুপ্ত,অভিষেক চ্যাটার্জি,অনুশ্রী দাস,জয়শ্রী মুখার্জী,রাজন্যা মিত্র,প্রিয়াঙ্কা মিত্র,নিশান্তিকা দাস,তথাগত মুখার্জি প্রমুখ ৷ মোহর এর পর্ব পরিচালনা করছেন পার্থ দে এবং ধারাবাহিকটির কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও সৃজনশীল পরিচালনায় লীনা গাঙ্গুলী এবং প্রযোজনায় ও পরিচালনায় শৈবাল ব্যানার্জি৷

খড়কুটো
গেল লকডাউনে বেশ কিছু পরিবার নতুন করে একত্র হয়েছে। অর্থাৎ মা-বাবা ছেলে-মেয়ে বহু বছর পর একত্রিত হয়েছে। আবার যারা প্রথম থেকেই যৌথ পরিবারে মানুষ, চাকরি সূত্রে বহু বছর বাইরে তারাও আবার এই করোনাকালে বাড়িতে ফিরে এসেছে। মোট কথা, করোনা আবার নতুন করে পরিবারের সংজ্ঞা তৈরি করেছে। পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্কগুলোকে দৃঢ় করেছে। আর তাই এই বন্ধন আরও দৃঢ় করতে এসেছে নতুন ধারাবাহিক খড়কুটো;বলবে পরিবারের গল্প। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তৃণা সাহা ও কৌশিক রায়। এই প্রথম জুটি হিয়েবে দেখা যাবে তৃণা-কৌশিককে। তৃণাকে শেষ দেখা গিয়েছিল কলের বউ-তে। আর কৌশিককে ফাগুন বউ-তে।  একটি যৌথ পরিবারের গল্প। যেখানে এখনও এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা প্রাচীনপন্থী। যাঁরা মনে করেন, মেয়েদের বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটানো মোটেই ভালো ব্যাপার নয়, ঘরের ছেলে চিরকাল ঘরের খেয়েই কাজ করবে। ভালো সুযোগ আসলেও বাইরে যাবে না। এমন পরিবারেই হঠাৎ করে একদিন আসে গুনগুন।  গুনগুন শিক্ষিতা, সুন্দরী, আধুনিকা। ওই পরিবারের কাছে অনেকটাই বেমানান।অন্যদিকে কৌশিকের চরিত্রের নাম সৌজন্য। রক্ষণশীল বাড়ির ছেলে সে। বোন রাতে পার্টি করতে যাবে একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর। আসলে সৌজন্য খুব বাড়িমনস্ক। ওই যে, বাড়িই তার খড়কুটো। তার বড় হয়ে ওঠাই এরকম।সৌজন্যর যৌথ পরিবারেই নিজের ঘর খুঁজে নেবে গুনগুন। দুজন বিপরীতমুখী মানুষ কীভাবে হয়ে উঠবেন একে অপরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তাও দেখবেন দর্শক।তৃণা আর কৈশিক ছাড়াও এই সিরিয়ালের কাস্টিং যে বেশ জমজমাট তা দর্শক জেনেই গিয়েছেন।আছেন চন্দন সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মতন অভিনেতারা। ফলে সবাই যে সবাইকে দিয়েই নিজের সেরাটা নিংড়ে দেবেন সে ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত সকলেই। এই বাড়ি কীভাবে সদস্যদের কাছে খড়কুটো হয়ে ওঠে তাও দেখার।সুখ দুঃখ, হাসি কান্নার পাঁচমিশালী জীবনে মোড়া একটি পারিবারিক গল্প নিয়ে চলছে ধারাবাহিকটি।‘খড়কুটো’ গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে মুখার্জি বাড়ির হাসি, কান্না আর ভালোবাসার ত্রিকোণ প্রেম। এখানে কেউ কৃপণ, কেউ বদমেজাজি, কেউ বা তানপুরা হাতে ভুল গান গায়, কেউ বা অতিমাত্রায় শিশুসুলভ। এরা সকলে সকলকে দারুণ ভালোবাসে।এমনই এক মজাদার পরিবারের গল্প ‘খড়কুটো’।এরা ঝগড়া করে আবার একে অন্যকে আঁকড়ে ধরে থাকে।অভিনয়ে কৌশিক রায়,তৃণা সাহা,রুকমা রায়, দুলাল লাহিড়ী,চন্দন সেন,অম্বরিশ ভট্টাচায্য,জয়শ্রী মুখার্জী,রাজন্যা মিত্র,দেবোত্তম মজুমদার,প্রিয়াঙ্কা মিত্র,সোন্যাল মিশ্রা,সোহিনী সেনগুপ্ত,মালবিকা সেন প্রমুখ। প্রতি সোম থেকে রবি ঠিক রাত আটটায় খড়কুটো প্রচারিত হয় স্টার জলসায়।এখনো সিরিয়ালের আইএমডিবি রেটিং প্রকাশিত না হলেও চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে শতকরা প্রায় ৯৩ ভাগ গুগল ব্যবহারকারী দর্শক খড়কুটো ধারাবাহিক পছন্দ করেছেন ৷ এই মুহুর্তে খড়কুটো টিআরপি টেবিলে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ৷ দুই বাংলার দর্শক ভালোবেসে এই জুটিকে ‘সৌগুন’ নামে ডাকে ৷ খড়কুটো’র পর্ব পরিচালনা করছেন স্নেহাশিস জানা এবং যথারীতি কাহিনী, চিত্রনাট্য,সংলাপ ও সৃজনশীল পরিচালনায় লীনা গাঙ্গুলী এবং পরিচালনা ও প্রযোজনায় থাকছেন শৈবাল ব্যানার্জী ৷

শ্রীময়ী
শ্রীময়ী সম্প্রতি বাংলা সিরিয়ালে নতুন আলোড়ন তৈরি করেছে। শ্রীময়ীর কাহিনি অনেক আগে দেখা অপর্ণা সেনের ‘পরমা’ সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে পরমা যে গন্তব্যে পৌঁছেছিল সিনেমার একদম শেষে, শ্রীময়ী সেটা আগেই পেরেছে। একটি অসুখী ও অসম্মানজনক দাম্পত্য জীবন থেকে সে বেরিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার অঙ্গীকার করেছে। শ্রীময়ী আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেটা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। সে তাঁর স্ত্রীধন তুলে দিয়েছে তার স্বামীর বর্তমান স্ত্রী জুনের হাতে। বিয়ের সময় নারীদের যে গয়না উপঢৌকন হিসেবে দেওয়া হয়, তাকেই বলা হয় স্ত্রীধন। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলেও কোনো নারীর কাছ থেকে সেই স্ত্রীধন কেউ কেড়ে নিতে পারে না, যদি না স্বেচ্ছায় দান কিংবা উপহার হিসেবে না দেয়। শ্রীময়ী স্ত্রীধনের অধিকার ছেড়ে দিয়ে আত্মসম্মানের পরিচয় দিয়েছে। তদুপরি কারও তদবিরে নয়, নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী একটা চাকরিতে ঢুকে সে নিজেকে আরও মহান করেছে।টিআরপি রেটিংয়ে স্টার জলসার বিভিন্ন সিরিয়ালের মধ্যে ‘শ্রীময়ী’–এর অবস্থান অন্যতম শীর্ষে;বলা যায় জলসার সেকেণ্ড টপার! স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত। লেখাপড়া কম জানা কিংবা তেমন ঝকঝকে স্মার্ট না বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন, এমনকি নিজের সন্তানেরাও পাত্তা দেয় না, এমন একজন সর্বংসহা শ্রীময়ী অবশেষে নিজেকে বদলাতে শুরু করে। যেটা সচরাচর স্টার জলসা ঘরানার সিরিয়ালে দেখা যায় না। কারণ এসব সিরিয়ালে ভালো চরিত্রগুলো শুধু পড়ে পড়ে মার খেয়ে যায়। বারে বারে অপমান সহ্য করে। কিন্তু, ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবে না।শ্রীময়ী এখন নিত্য সংসারের কাজকে অবহেলায় ছুড়ে ফেলে চাকরিতে চলে যায়। তবু এই যেন শ্রীময়ীর একসাধারণ গৃহবধূর সমস্যা, তাঁর লড়াই এবং ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেক্ষাপটে তৈরি সিরিয়াল শ্রীময়ী।যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন ইন্দ্রানী হালদার। ইন্দ্রানী হালদার ছাড়াও এই ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ঊষশী চক্রবর্তী ও টোটা রায় চৌধুরী । এই চরিত্রটি তিনি যেভাবে তাঁর সম্পূর্ণ অভিনেত্রী সত্তার মধ্যে ধারণ করেন, তা অনবদ্য। তার ভালবাসা, যত্ন, আত্মসম্মান, অভিমান– প্রত্যেকটি আবেগ তীব্র অথচ কখনোই উচ্চকিত হয় না। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রত্যেক দৃশ্যে তাঁর অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যান। তবে ইন্দ্রাণী হালদারের আশেপাশে যদি চিত্রা সেনের মতো অভিজ্ঞ, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-ঊষসী চক্রবর্তীর মতো দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা না থাকতেন, তাহলে ধারাবাহিকটি এই উচ্চতায় পৌঁছতে পারত না।এই ধারাবাহিক বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে স্মরণীয় ধারাবাহিকগুলির একটি হয়ে দর্শকের মননে থেকে যাবে। অনেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্কে রাজনীতিকে বুঝবেন, আত্মসম্মানবোধ এবং দায়িত্ববোধের উপলব্ধি হবে।সংসারে সবার খেয়াল রাখা মহিলাটিই অবহেলিত স্বামী এবং সন্তানদের কাছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দরকার প্রবল আত্মবিশ্বাসের। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে শ্রীময়ী? সেই গল্প জানতে হলে চোখ রাখতে হবে স্টার জলসার পর্দায়।এই মুহুর্তে শ্রীময়ী টিআরপি চার্টে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ৷ ধারাবাহিকের আইএমডিবি রেটিং ৪.৮ (১০ এর মধ্যে) এবং গুগল ব্যবহারকারীদের শতকরা প্রায় ৮১ ভাগ দর্শক এটি পছন্দ করে ৷  প্রতি সোম থেকে রবি ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শ্রীময়ী প্রচারিত হয় স্টার জলসার পর্দায়।এতে আরো অভিনয় করেছেন দেবলীনা মুখার্জি, সপ্তর্ষি মৌলিক,মধুরিমা বসাক,ভরত কল,রোহিত সামন্ত,অশোক ভট্টাচার্য,ঐশী ভট্টাচার্য প্রমুখ ৷ শ্রীময়ীর পর্ব পরিচালনা করেন সুজিত পাইন এবং কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও সৃজনশীল পরিচালনায় লীনা গাঙ্গুলী এবং প্রযোজনা ও পরিচালনায় শৈবাল ব্যানার্জি ৷

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ