সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কাশ্মির ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ধর্ষণের শিকার আসিফা বানুর বাবা-মা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর থেকে এ কথা জানা গেছে। আসিফাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক সরকারি কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে ভারতের আদালত। মধ্য জানুয়ারির ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার দিন অভিযোগপত্র জনসম্মুখে আনা হয়।
কাঠুয়া অঞ্চলের যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর মেয়ে ছিলো ৮ বছরের ছোট্ট আসিফা। কাঠুয়ার উপত্যকায় ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় তাকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে আশফিয়া নামের ওই শিশুকে অপহরণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর মন্দিরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে।
কাঠুয়ার যে গ্রামে আসিফা থাকতেন, সেই রাসানা গ্রামটি হিন্দু অধ্যূষিত। অসিফার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে বিভক্ত ওই গ্রাম। ধর্ষকদের বিচারের আওতামুক্ত করতে মিছিলও হয়েছে সেখানে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পুলিশি তদন্তকে অযথার্থ আখ্যা দিয়ে জম্মু বার অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডাকার পর পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে আসিফার পরিবার। টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে নিজস্ব অনুসন্ধান সূত্রে জানায়, ভুক্তভোগী শিশু আসিফার বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ পুজওয়ালা তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও গবাদিপশু নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন। এর আগে জানা গিয়েছিল,পরের মাসে তারা কাশ্মির ছেড়ে যাবেন।
জম্মু বার অ্যাসোসিয়েশন ও ভিম সিংয়ের জম্মু কাশ্মির প্যানথার পার্টি ‘ধর্ষক ও হত্যাকারীদের’ পক্ষে বনধ ডাকা ও মিছিল করার সময়ও রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশ ‘নীরব দর্শকের ভূমিকা’ পালন করেছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে মিরওয়াজ ওমান ফারুকের নেতৃ্ত্বাধীন স্বাধীনতাকামী হুরিয়াত কনফারেন্স। সুশীল সমাজের সদস্যরা এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। বুধবার শিক্ষার্থী, যুবক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা শ্রীনগরের প্রতাপ পার্কে এর প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন।
বাংলাট্রিবিউন