কালের কণ্ঠ প্রতিনিধিকে হুমকি: ‘তোর ঠাঙ্গের গিরা ফাটাব’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

‘আমার এই ব্যবসা হয়তো আর এক বছর করব। আবার নাও করতে পারি। কিন্তু তুই অফিসে জানাবি না। আমি যদি চাই তোর অনেক মানসম্মান হানি করতে পারব। এমন কিছু যেন না করিস তোর সম্মান নিয়ে টানা টানি শুরু হয়’।

এই হুমকিটা দেওয়া হয় গত ১৮ নভেম্বর রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে মুঠোফোনের ম্যাসেজে। এরপর আজ শনিবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে বলেন, ‘বালুর উত্তোলনের ঘাটে গিয়ে ছবি উঠিয়েছিলেন, তুই কলেজ গেট পার হলেই ঠাঙ্গের গিরা ফাটাব, তুই শুধু আমার চোখের সামনে পরেক তোকে ইউএনও অফিসের গেটের সামনেই বেঁধে পেটাব’।

কালের কণ্ঠের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রতিনিধি নিয়াজ মোরশেদকে এভাবেই হুমকি দিয়েছে সৈয়দ রানা হুদা নামে এক বালু ব্যবসায়ী। তিনি আক্কেলপুর পৌর এলাকার সিদ্দির মোড় মহল্লার মৃত সারফুল হুদার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার রাজকান্দা এলাকার বেইস মিতালী অফিসের দু’গজ পশ্চিম পাশে তুলসীগঙ্গা নদীতে প্রায় একবছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তেলন করছেন বালু ব্যবসায়ী সৈয়দ রানা হুদা নামে এক ব্যক্তি। সেখানে আজ সকালে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ছবি উঠাতে যান কালের কণ্ঠের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর প্রতিনিধি নিয়াজ মোরশেদ। সেখান থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পরে বালু ব্যবসায়ী সৈয়দ রানা হুদা ফোন করে ওই হুমকি দেন।

স্থানীয় সাংবাদিক সকেল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে বালু উত্তেলনের ছবি উঠাতে আমিও সেখানে উস্থিত ছিলাম। আমরা বালু উত্তেলনের ছবি সংগ্রহ করে ফেরার কিছুক্ষণ পরে তিনি মুঠোফোনে কালের কণ্ঠ প্রতিনিধিকে হুমকি দেন।

এ ঘটনায় জয়পুরহাট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, একজন সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি এই রকম হুমকির শিকার হয় তাহলে এর চেয়ে আর দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। তিনি এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবং হুমকি দাতা যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।