কালাই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জয়পুরহাট জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও কালাই উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মরিয়ম নেছা স্বপ্না। গত ২১ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

 
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মিনফুজুর রহমান মিলন ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্নাকে তোয়াক্কা না করে এক নায়কতন্ত্র ভাবে উপজেলা পরিষদ পরিচালনা করছেন। তিনি উপজেলা মাসিক কমিটিতে তার কোন বক্তব্য নোট করেন না এবং তার কক্ষে এখনো বসার মতো প্রয়োজনীয় কোন আসবাবপত্র সরবরাহ করেননি। এছাড়াও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুদান ও বিধবা ভাতা বন্টনে তাকে কোন সুযোগ দেওয়া হয় না। এডিবির বরাদ্দকৃত সকল কাজ তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে তার নিজের লোকদের দ্বারা করে থাকলেও তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। সর্বশেষ গত দুই মাসের বেতনা ভাতাও তাকে প্রদান করা হয়নি এবং আগামী আড়াই বছর মেয়াদ কালে তার কোন চেকে সহি স্বাক্ষর করা হবেনা বলেও মাঝে মধ্যেই তাকে হুমকী প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে কান্না জড়িত কন্ঠে ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম নেছা স্বপ্না জয়পুরহাটে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন-আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে এ চেয়ারে বসেছি। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের দাপটে আমি আমার অধিকার হারাতে বসেছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপও তিনি কামনা করেন।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জয়পুরহাট জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলন মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য। এসব অভিযোগের কোন প্রমাণ কিংবা সত্যতা নেই।

স/মি