কারাগারে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন পরীমনি, পরে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে

মাদক মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে রাখা হয় কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। সেখানে তিনি ১৪ দিন থাকবেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জলিল বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, পরীমনিকে কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টার রজনীগন্ধা ভবনে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি এখনো ডিভিশন পাননি তাই তাকে কোয়ারেন্টিন শেষে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গেই রাখা হবে।

এর আগে পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুক্রবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরীমণির পাশাপাশি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু, পরীমনির একটি সিনেমার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীর ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারক।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নারী বন্দিদের রাখার ব্যবস্থা না থাকায় পরীমনিকে কাশিমপুরের মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরের আগে পরীমনিকে আদালতে নেওয়া হয়। বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। সোয়া ৩টার পর রায় আসে। এদিন পরীমনিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তা।

৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে তার বাসা থেকে বিপুল মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৫ আগস্ট পরীমনির নামে বনানী থানায় মামলা হয়। সে মামলায় প্রথম দফায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নায়িকাকে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক। দুই দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ