কারও বোঝা হয়ে থাকতে চান না নাসির

জন্ম থেকেই শরীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। আর দশটা মানুষের মতো তার জীবন স্বাভাবিক না। তবু কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই নাসিরের।

মানুষের মতোই লড়াই করে বাঁচতে চান তিনি, হাত না পেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে চান। ৩৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী মোহাম্মদ নাসিরের জন্মগতভাবে দুহাত ও দুই পা নেই।

নাসির কম্পিউটারের কাজ জানেন। করোনা মহামরীর আগে নিজ এলাকায় তিনি একটি কম্পিউটারের দোকানে চাকরি করতেন। এখন বেকার। কাজ খুঁজছেন বেঁচে থাকার তাগিদে।

নাসির বলেন, অনেকে আমাকে দেখলে ভিক্ষা দিতে চান ও করুণার চোখে তাকান। বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারি না। আমি শরীরিকভাবে অক্ষম- সেটি জানি। তবে কারও দয়া বা করুণার পাত্র হতে চাই না, কাজ করে খেতে চাই।

নাসির আরও বলেন, ভাই ও বোনেরা আমার দেখভাল করেন। কিন্তু আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। আমি একটা কাজ চাই। সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

নাসিরের ভাই নেসার বলেন, বড় ভাইয়ের এই শারীরিক অক্ষমতা আমাদের খুব কষ্ট দেয়। তবে আমরা তো নিয়তির কাছে বাধা। আমার ভাইয়ের জন্য কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।

নাসিরের জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়ার বাণীগ্রামে। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে অষ্টম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা সুযোগ হয়নি তার।

বাবা আমির হোসেন অনেক আগেই মারা গেছেন। এখন মা রহিমা বেগম ও অন্য ভাইবোনেরা তার দেখভাল করেন। বর্তমানে ঢাকায় বাড্ডায় ছোট ভাই নেসারের বাসায় থাকছেন নাসির।

 

সূত্রঃ যুগান্তর