কাবুল থেকে ব্রিটিশগামী বিমানে ঠাঁই পেল গাড়ি!

তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলের পর দেশ ছাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠছে সাধারণ নাগরিকরা। যেকোনো উপায়ে দেশ ছাড়াতে মরিয়া আফগান জনগণের কাঁটাতারের উপর দিয়ে শিশুদের ছুঁড়ে দেওয়ার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।  উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ে দুই যুবকের মৃত্যুর মর্মান্তিত ঘটনা পাশাপাশি ঘটেছে বিমানবন্দরে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও। এরই মধ্যে কাবুল থেকে ব্রিটেনগামী এক বিমানে আস্ত একটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই বিমানে দেখে গেছে অনেক ফাঁকা জায়গাও।

যেখানে হাজার হাজার মরিয়া মানুষ জায়গা পাচ্ছেন না সেখানে বিমানে করে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

টুইটারে ওই ছবি শেয়ার করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা রিকি গারভিস। গাড়িটি কোনো ব্রিটিশ কূটনীতিকের বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে বিমানে করে পোষা প্রাণীদের নিয়ে আসার খবরও সামনে এসেছে।

রিকি অবশ্য পোষা প্রাণীদের নিয়ে আসার পক্ষেই। তবে মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের শরণার্থী পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২২ লাখ আফগান নাগরিক পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশের মধ্যেই বাস্তুচ্যূত হয়েছেন ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।

তবে বেশির ভাগ মানুষই প্রচলিত সীমান্তগুলো দিয়ে আফগানিস্তান ছাড়াতে পারেনি বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।

এদিকে  মরিয়া আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কোনো কোনো দেশ নিজেদের দেশের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আবার কোনো কোনো দেশ শরণার্থীদের ঠেকাতে সীমান্তে তুলে দিয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। কোনো কোনো দেশ আবার ঝুঁকিতে থাকা আফগান নাগরিকদের জন্য চালু করেছে বিশেষ ভিসা প্রোগ্রাম।

ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিচ্ছে।

তবে ২০১৫ সাল থেকে ইউরোপের দেশগুলো শরণার্থীদের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে জানিয়েছে তুরস্ক, গ্রিস, অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি দেশ। এমনকি তুরস্ক আর গ্রিস আফগান শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং দেয়াল তুলে দিয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর