কলিজার বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম : ডন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সালমান শাহ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অভিনতো আশরাফুল হক ডন। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদনে আজ জানানো হয়, সালমান শাহ খুন হননি। তার মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত। আর এমন রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ডন।

ডন বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম। ২৪ বছর বুকের ভেতর বন্ধু হত্যার মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমাকে ঘুরতে হয়েছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তা কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম, মনে বিশ্বাস ছিল সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। সত্য কোনোদিন মিথ্যা হয় না আর মিথ্যাকেও জোর করে সত্য বানানো যায় না।’

এই খলঅভিনেতা আরও বলেন, ‘সালমান শাহ আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল। এটা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। নায়ক-ভিলেন হিসেবেও পর্দায় আমাদের জুটি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। সালমান চলে যাবার পর আমিও সিনেমায় নিয়মিত হতে পারিনি। তবুও আমার ওপর বন্ধু খুনের মিথ্যে দায় চাপানো হলো। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে কত কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা আমি সয়েছি, তা কেবল আমিই জানি।’

এদিকে, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আগমন ঘটে সালমান শাহ’র। অভিনয় গুণে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এই চিত্রনায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভিনয় করেন ২৭টি ছবিতে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। এ ঘটনায় তখন অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এরপর বেশ কয়েকবার একে আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার তাতে নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়। এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। তখন মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় আদালত।