নিজস্ব প্রতিবেদক:
সময়ের সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণের বাইরে নেই রাজশাহীও। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরের এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন আটজন। এ অবস্থায় করোনার চিকিৎসায় আরও ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।
রাজশাহীতে করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকালে সভা করেছে রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ। রামেকের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা।
সভায় জানানো হয়, করোনা রোগিদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালও প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রামেক হাসপাতালের চুক্তি হয়। মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালটি পুরোপুরি প্রস্তুত। মিশন হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের পাশাপাশি রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাবেন।
এছাড়া রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভবনটি কোভিড-১৯ রোগিদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হবে। চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিম। এখন সন্দেহভাজন রোগিদের রাজশাহীর সংক্রণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রামেকের ল্যাবে সন্দেহভাজন রোগিদের নমুনাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সভায় করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চিকিৎসা উপকরণ কেনাসহ নানা ধরনের সমস্যার কথাও উঠে আসে। সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সমন্বিতভাবে কাজ করা খুব প্রয়োজন। প্রত্যেকটি সরকারি দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করে আমরা করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।
সভা পরিচালনা করেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস, করোনার চিকিৎসা টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান, রাজশাহী নগর পুলিশের উপকমিশনার সাজিদ হোসেনসহ হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা সভায় অংশ নেন।
স/অ
