করোনা কি ফ্লু থেকেও ভয়াবহ?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি চীনা নাগরিক। মৃতদের মধ্যেও ৩ হাজার ১৩৬ জনই চীনের।

চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র মৃত্যুর ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে যে ছক দিয়েছে, তাতে দেখা যায়– মধ্যবয়সীদের চেয়ে বয়স্কদের মৃত্যুর সংখ্যা ১০ গুণ বেশি।

বিবিসি বলছে, সর্দি-কাশি হলে আমরা সাধারণ চিকিৎসকের কাছে যাই না। তাই কোভিড-১৯ রোগটি সাধারণ ফ্লু থেকে বিপজ্জনক কিনা তা বোঝা কঠিন বটে।

বিবিসি আরও বলছে, আর তাই এও জানা সম্ভব না যে, বছরে কতজন ইনফ্লুয়েঞ্জা অথবা অন্য কোনো নতুন ভাইরাসের কারণে ভোগেন। তবে প্রতি শীত মৌসুমে যুক্তরাজ্যে ফ্লু আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব হচ্ছে না এই সময়ে কতজন মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। তারা আরও বলছেন, রোগী বয়স, লিঙ্গ, অন্য রোগ আছে কিনা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে আপাতত ধারণা করা গেলেও নতুন এই ভাইরাস নিয়ে সুস্পষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়াকে পিএইচডি করার মতো এক জটিল মনে করছে গবেষকরা।

যুক্তরাজ্যের ইমপেরিয়াল কলেজের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি জানাচ্ছে, বিভিন্ন দেশে মৃদু ও সংকটাপন্ন রোগী শনাক্ত হচ্ছে বিভিন্নভাবে। আর এতে করে কোনো শারীরিক দশায় রোগী কী রকম ঝুঁকিতে রয়েছে, তা বোঝা কঠিন।

করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলছেন, নিয়মি হাত ধোয়া, সর্দি-কাশি রয়েছে এমন ব্যক্তি সংসর্গ থেকে দূরে থাকা। এ ছাড়া চোখ-নাক এবং মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।