করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৪৮ লাখ, মৃত্যু ৩১৬৬৭১

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর চার মাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ নেই।

এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ ১ হাজার, মারা গেছে ৩ লাখ ১৬ হাজারেরও বেশি এবং সুস্থ হয়েছে ১৮ লাখ ৫৮ হাজারেও বেশি মানুষ।

যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।ইউরোপে শুরু হয়েছে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল।

করোনার আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ লাখ ১ হাজার ৮৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ২৫৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৭০ জন।

বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ২৬ হাজার ১৮০ জন। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৯৮ হাজার চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৪৪ হাজার ৮২৩ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।

ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৯ এবং মারা গেছে ৯০ হাজার ৯৭৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মারা গেছে সেগুলো হলো– রাশিয়ায় আক্রান্ত ২ লাখ এক হাজার ৭৫২, ২ হাজার ৬৩১। স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭৭ হাজার ৭১৯ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৬৫০ জন।

ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৫ এবং মারা গেছে ৩৪ হাজার ৬৩৬ জন।

ইতালিতে আক্রান্ত দুই লাখ ২৫ হাজার ৪৩৫ এবং মারা গেছে ৩১ হাজার ৯০৮ জন।

ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৯, মারা গেছে ২৮ হাজার ১০৮ জন।

ব্রাজিলে আক্রান্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ৮০ এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ১১৮ জন।

এদিকে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৯৪৭ এবং মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন।

এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে আক্রান্ত ৯৫ হাজার ৬৯৮ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৫ জন।

পাকিস্তানে আক্রান্ত ৪০ হাজার ১৫১ এবং মারা গেছে ৮৭৩ জন।

বাংলাদেশে আক্রান্ত ২২ হাজার ২৬৮, সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৩ এবং মারা গেছে ৩২৮ জন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর