করোনার মধ্যে বড় অংকের টাকার মোবাইল রপ্তানী করছে ভারত

ভারতে মোবাইল ফোন বানিয়ে বিদেশে রপ্তানী করার জন্য দেশটির সরকারের তৈরি এমপাওয়ার্ড গ্রুপের কাছে আবেদন করেছিল বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক সংস্থা। তার মধ্যে আছে ফক্সকন, পেগাট্রন, উইসট্রন, স্যামসুং, লাভা ও ডিক্সন। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার বা ৭ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার মোবাইল রপ্তানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।  সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এমপাওয়ার্ড কমিটি।

মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলো প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম (পিএলআই)-এর সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। করোনার মধ্যে গত ১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রকল্প ঘোষণা করে। ন্যাশনাল পলিসি অন ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, যে ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলি ভারতে ট্রানজিস্টার, ডায়োড, থাইরিস্টরস, রেসিস্টরস, ক্যাপাসিটরস এবং ন্যানো ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরি করবে, তাদের দেওয়া হবে চার থেকে ছয় শতাংশ ইনসেনটিভ।

একটি নোডাল এজেন্সির মাধ্যমে সরকার ওই প্রকল্প রূপায়িত করছে। যে কোনও ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স সংস্থা অথবা যে বিদেশি সংস্থার ভারতে অন্তত একটি কারখানা আছে, তারা ওই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। ওই সংস্থাগুলি নতুন কারখানা তৈরি করতে পারে। অথবা চালু এক বা একাধিক কারখানার জন্য ইনসেনটিভ চাইতে পারে।

আন্তর্জাতিক সে সংস্থাগুলি ভারতে ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের মোবাইল ফোন তৈরি করে, তারা ছয় শতাংশ পর্যন্ত ইনসেনটিভ পেতে পারে। ফোনের বিক্রির অনুপাতে স্থির হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা কত ইনসেনটিভ পাবে। প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম চালু থাকবে পাঁচ বছর। ২০১৯-২০ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে ইনসেনটিভের হার নির্ধারণ করা হবে।

যে মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলি পিএল আই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিদেশি সংস্থা, সাতটি ভারতীয় সংস্থা ও ছ’টি মোবাইলের যন্ত্রাংশ নির্মাতা সংস্থা। সরকারের যে এমপাওয়ার্ড কমিটি কোম্পানিগুলির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, তার মধ্যে আছেন নীতি আয়োগের সিইও, ব্যয় বরাদ্দ ও রাজস্ব দফতরের সচিব, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড এবং ডায়রেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড-এর প্রতিনিধি। চলতি সপ্তাহেই এমপাওয়ার্ড কমিটি মোবাইল কোম্পানিগুলির প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পেশ করবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ