করোনার প্রণোদনা: প্রত্যেক গ্রামপুলিশ পাচ্ছেন ১৩শ টাকা

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা পালনে প্রণোদনা হিসেবে গ্রামপুলিশের (দফাদার ও মহল্লাদার) প্রত্যেকের জন্য এক হাজার ৩শ টাকা করে সর্বমোট ৬ কোটি টাকা বিশেষ অনুদান দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

দেশের চার হাজার ৫৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত প্রায় ৪৬ হাজার গ্রামপুলিশের জন্য এই বরাদ্দ দিয়ে সোমবার (১১ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ থেকে প্রত্যেক জেলার জন্য মঞ্জুরি করা অর্থ উঠানোর অথরিটিপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা তাদের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ ট্রেজারি থেকে উত্তোলন করে প্রত্যেক গ্রামপুলিশকে এক হাজার ৩শ টাকা করে সরাসরি দেবেন।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামপুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করায় প্রণোদনা হিসেবে এ অনুদান দেওয়া হলো বলে জানান বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।

স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, গ্রাম পুলিশে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে দফাদার ও নয়জন করে মহলদার নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যে দফাদাররা মাসে সাকুল্যে সাত হাজার টাকা এবং মহল্লাদাররা ৬ হাজার ৫শ টাকা বেতন পান।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দফাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯তম গ্রেড এবং মহলদারদের ২০তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

গ্রামপুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাদের বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ আর বাকিটা দেওয়া হয় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯’ এ তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই আইনের অধীনে ২০১৫ সালে গ্রামপুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হলেও বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।

সূত্র: বাংলানিউজ