করোনাভাইরাস: চীন ভ্রমণ বাতিল করছেন বহু বাংলাদেশি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের অনেক মানুষের প্রতিবছর বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে চীন ধীরে-ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে চীনে চারটি ফ্লাইট যাওয়া-আসা করছে।

বেসরকারি ট্যুর অপারেটররা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার কারণে বহু বাংলাদেশি তাদের চীন ভ্রমণ বাতিল করেছেন।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় চীনে বসবাস করেন। তারও ইচ্ছে ছিল চীনে যাবেন। তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, চীনের কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করা এবং একই সাথে চীন ঘুরে দেখা কিন্তু করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের কারণে সে পরিকল্পনা এখন বাদ দিয়েছেন সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আমাদের কয়েকজন আত্নীয় আছে সেখানে। সবাই বললো খুবই খারাপ অবস্থা ওখানে। আর যাওয়া হবে না ঐদিকে ”

বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশিদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চীন। ঢাকায় এখন বহু বেসরকারি ট্যুর অপারেটর আছে যারা চীনে ট্যুর প্যাকেজ পরিচালনা করে।

চীনে ভিসা আবেদনে সহায়তা থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং এবং বিমানের টিকিটও বুকিং দেয় তারা। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আকাশবাড়ি হলিডেজ।

Image result for আকাশবাড়ি হলিডেজ চীন

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান তুহিন বলেন, করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে একের পর চীন ভ্রমণ বাতিল করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। এখন চীন ছাড়িয়ে থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম ভ্রমণের পরিকল্পনাও বাতিল করছেন অনেকে।

মি: তুহিন বলেন, বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ যায় বেইজিং, কুনমিং এবং সাংহাইতে।

“যাদের টিকিট করা ছিল আমাদের মাধ্যমে তারা টিকিট বাতিল করছে,” বলছিলেন মি: তুহিন।

তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে ব্যবসা এবং পর্যটন মিলিয়ে প্রায় ২০০’র মতো ভ্রমণ স্থগিত হয়েছে।

ট্যুর অপারেটররা বলছেন, বাংলাদেশে থেকে চীনে যারা ব্যবসাসায়িক কাজে যায়, তাদের বেশিরভাগই কাজ শেষ করে অতিরিক্ত কয়েকদিন পর্যটনের জন্য অবস্থান করেন।

এছাড়া শুধু পর্যটন ভিসায়ও অনেকে যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে চীনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন চারটি ফ্লাইট যাওয়া-আসা করছে।

বেসরকারি জ্যাস ট্যুর অপারেটর-এর সাগর আহমেদ বলছিলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার থেকে গত দুই সপ্তাহে পর্যটকরা এবং ব্যবসায়ীরা চীন ভ্রমণ বাতিল করেছেন।

Image result for china

মি: আহমেদ বলেন, গত বছরের জানুয়ারি মাসের সাথে তুলনা করলে চলতি বছর চীনে ভিসা এবং টিকিটের চাহিদা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বেসরকারি ট্যুর অপারেটররা বলছেন, তাদের বেশিরভাগ ট্যুর প্যাকেজ চীন. থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।

করোনাভাইরাসের যদি আরো বিস্তার ঘটে এবং এ পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরদের ব্যবসা বন্ধ হবার উপক্রম হবে বলে তারা আশংকা করছেন।