করোনাভাইরাসের ভয়ে আত্মগোপনে কিম!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। পিয়ংইয়ংয়ের এই একনায়ক শাসককে নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা জল্পনার মধ্যেই এমনটাই জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।

দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিমের ব্যাপারে বলেছেন, কিম কেমন আছেন তা তিনি জানেন। তবে এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি নন তিনি।

হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় সোমবার কিম জং উন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, কিম কেমন আছেন আমি জানি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনই আমি কিছু বলব না।’

খবর ব্লুমবার্গের। শনিবার ছিল কোরিয়ান পিপলস রেভুল্যুশনারি আর্মির ৮৮তম বার্ষিকী। প্রতিবছর উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী দিনটি উদযাপন করে থাকে।

এবার এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কিমকে। এছাড়া ১৫ এপ্রিল ছিল পিতামহ এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিন। সেদিনের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না কিম।

ফলে গুজবের ডালপালা ছড়াচ্ছে চারদিকে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে দেশটির মন্ত্রী ইয়ন চুল কিমের ব্যাপারে কথা বলেছেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনোদিন তারা দাদার জন্মবার্ষিকীতে অনুপস্থিত ছিলেন না।

কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটিতে বেশ কিছু অনুষ্ঠান এবং ভোজ বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিনি দুইবার জনচক্ষুর আড়ালে গিয়েছেন।

আমার মতে, বর্তমানে তিনি সুস্থই আছেন। কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

কিমের অসুস্থতা নিয়ে আগেও কথা বলেন ট্রাম্প। কিমের বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সংবাদ ছাপায় সিএনএনের একহাত নিয়ে ট্রাম্প বলেন, এসব তাদের বানানো ‘ভুয়া খবর’। হোয়াইট হাউসে সোমবার ফের কিম প্রসঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কিমের ব্যাপারে আমরা খুব ভালো করেই জানি। তবে আমি এখন এটি নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমি কেবল তার শুভ কামনা করছি।

কিমের ব্যাপারে সাংবাদিকরাও দ্রুত জানতে পারবেন বলেও জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি আশা করি, তিনি ভালো আছেন। খুব দ্রুতই আপনারাও তার ব্যাপারে জানতে পারবেন।

কিমের সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্কের কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, কিম জন উনের সঙ্গে আমার ভালো একটি সম্পর্ক আছে। আমি বলতে পারি, আমি প্রেসিডেন্ট না হলে, আপনারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে দিতেন।