কম দামে পণ্য বিক্রির খবরও প্রচারের অনুরোধ ভোক্তার ডিজির

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের ফলহাটি, মেডিসিন রোড, মাংস হাটি ও কাঁচা বাজার তদারকির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সফিকুজ্জামান এ কথা বলেন।

এসব বাজারে ঢুকে অনিয়ম দেখতে পান তিনি। অনেক ব্যবসায়ী তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে পারেননি। ফার্মেসিতেও প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে পারেননি অনেকে। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রির প্রমাণও পান মহাপরিচালক। পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেন তিনি। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যখন একটি-দুটি জায়গায় রমজানের শুরুতে বেগুনের কেজি ১০০ টাকা হয়ে যায়, তখন ওই নিউজটা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক জায়গায় যদি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয় অন্য জায়গায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি হলে সেটিও আপনার তুলে ধরুন। যখন বেশি দরের নিউজ প্রকাশ হয় তখন যেসব পণ্যের কম দাম থাকে সেগুলোরও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তাই কম দরে জিনিসপত্র বিক্রির নিউজও তুলে ধরার অনুরোধ জানাই।

বাজারের এই অবস্থা দূর করতে ভোক্তা হিসেবে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সফিকুজ্জামান।

বাজার তদারকিকালে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) ফকির মো. মনোয়ার হোসেন, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) (অতি. দা.) আতিয়া সুলতানা, রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের পরিচাপলক শেখ সাদি, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাকির হোসেন, গেইনের পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখসহ বাজার বণিক সমিতির সদস্যরা।