সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কয়েকমাস আগে একদল বানরের সঙ্গে যে শিশুকন্যাটিকে পাওয়া গিয়েছিল, সে একটি দুটি করে শব্দ উচ্চারণ করতে শুরু করেছে।
যদিও তার গলা দিয়ে বেরনো শব্দগুলো অর্থহীন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন দ্রুত কথা বলা শিখে যাবে সে।
এতদিন মানুষের ভাষার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগই হয় নি, তাই সে কথা বলতে পারত না।
এখন ওই শিশুকন্যাটির চিকিৎসা চলছে ‘নির্বাণ’ নামের একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে।
সেখানকার প্রধান সুরেশ সিং ধপোলা বিবিসির সঙ্গে ওই মেয়েটির দেখা করার ব্যবস্থা করেছিলেন।
মি. ধপোলা বলছেন, “বাচ্চাটি যেভাবে খায় বা পিঠে চেপে বসে, চিৎকার করে, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে ও দীর্ঘ সময় বানরদের মধ্যে ছিল।
মেয়েটির মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে, তা থেকে ওর আই কিউ স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।”
এদিকে, মেয়েটিকে কী অবস্থায় জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তা নিয়ে বেঁধেছে নতুন বিতর্ক।
পুলিশ আর বনবিভাগ দুরকম কথা বলছে। বাহরাইচ জেলার কর্তনিয়া ঘাট জঙ্গলের যে এলাকায় ওই শিশুকন্যাটিকে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানকার থানার অফিসার বলছেন মেয়েটিকে বানরদের দলের সঙ্গেও যেমন পাওয়া যায় নি, তেমনই কোনও পোশাক-আশাক তার গায়ে ছিল না বলে যে কথা প্রচার করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
অন্যদিকে জেলার মুখ্য চিকিৎসক ডা. ডি কে সিং আগেই জানিয়েছেন যে মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় জন্তুদের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল। তার গায়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘা ছিল।
বানরদের দল যে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে বাধা দিচ্ছিল, ওইসব আঘাত তারই প্রমাণ।
২৫শে জানুয়ারি বাহরাইচের কর্তনিয়া জঙ্গলে খুঁজে পাওয়ার পরে মেয়েটির এখন চিকিৎসা চলছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা