ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে স্বর্ণপদক দিলেন কাদের মির্জা

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য মুজিব বাহিনীর কমান্ডার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর-৭১’ সম্মাননা (স্বর্ণপদক) দিলেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

কোম্পানীগঞ্জ মুক্ত দিবসে মঙ্গলবার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে সম্মাননা পদক প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও সব মুক্তিযোদ্ধাদের শীতবস্ত্র এবং কম্বল বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর কমান্ডার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শহিদ বীরউত্তম নূরুল হক (সিরাজপুর), শহিদ খুরশিদ আলম (মোহাম্মদনগর) শহিদ আবদুল মান্নান (পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ড) শহিদ ইসমাইল (পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড), যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের (পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড) এবং আফজালুর রহমান (চরফকিরা)।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সরকারি মুজিব কলেজ প্রাঙ্গণে কোম্পানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখতে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামসহ ‘বীর-৭১ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।

এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বসুরহাট বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র কাদের মির্জা বলেন, আগামীতেও মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পদক প্রদান অব্যাহত থাকবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানুয়ারির ২৯ তারিখ এখানে আসবেন, এখানে আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধন করবেন। ওই দিন ওনাকে (ওবায়দুল কাদের) স্বর্ণপদকটা মুক্তিযোদ্ধা ও বসুরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে হস্তান্তর করব।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখনো কোটা প্রথা বাতিল করেনি। কিছুদিন আগেও পুলিশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে। এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ওপর মহলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৩০ হাজার টাকা করা হবে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে বিকাল ৩টায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 

সুত্রঃ যুগান্তর