এশিয়ার বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সৌদি আরব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ইউরোপের বাজারে বৃদ্ধির পর এবার এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সৌদি আরব। যাকে বলা হচ্ছে ‘প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি’। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রীষ্মে তেলের চাহিদা বেশি থাকার আশা এবং বিশ্ববাজারে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি পরিমাণে তেলের দাম বাড়াল শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশটি।

এশিয়ার বাজারে জুলাইতে বিক্রি হবে, এমন আরব লাইট তেলের অফিশিয়াল দাম (ওএসপি) বাড়ানো হয়েছে প্রতি ব্যারেল ২.১ ডলার।

জুনে দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬.৫ ডলার। ফলে জুলাইতে বিক্রি হবে এমন তেলের দাম পড়বে ৮.৬ ডলার। যদিও তা মে মাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে কিছুটা কম। ইতিপূর্বে রয়টার্সের জরিপে বলা হয়েছিল দাম বাড়বে প্রায় ১.৫ ডলার।

এশিয়ার একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, “এই দাম বৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত, বিশেষ করে ‘আরব লাইট’। এই সিদ্ধান্তে আমরা অবাক হয়েছি। ”

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে কারণে রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামাল দিতে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট-ওপেক প্লাস জুলাই ও আগস্টে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদক কম্পানি সৌদি আরামকো দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দিল।

ওপেক প্লাস দেশগুলো জুলাই ও আগস্টে দৈনিক ছয় লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল করে তেল তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও উৎপাদনের এই পরিমাণটি জোটের সদস্য রাশিয়া এবং অ্যাঙ্গোলা ও নাইজেরিয়ার মতো দেশের মধ্যেও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, যারা তেল উৎপাদন নিয়ে সংকটে আছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার চেয়ে কম তেল উৎপাদন করা হতে পারে।

বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত জুলাইয়ে গাড়ি চালানোর মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হয় এবং এ সময়ে সেখানে জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপক বাড়ে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক দেশ চীনও কভিড-১৯-এর দীর্ঘ লকডাউন শিথিল করতে শুরু করায় সাংহাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম বাড়তে শুরু করছে।

এশিয়ার আরেকজন তেল ব্যবসায়ী বললেন, ‘এই সময়ে তেলের চাহিদা খুবই শক্তশালী অবস্থানে আছে এবং এ জন্যই সৌদিরা ওএসপি বাড়ানোর সাহস করেছে। ’ গত রবিবার ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় ক্রেতাদের জন্যও জুলাইয়ের তেলের দাম বাড়িয়েছে সৌদি আরামকো, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কন্ঠ