এলিয়েনের খোঁজে চীনের প্রকাণ্ড টেলিস্কোপ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এলিয়েন নিয়ে অনেক গাল-গল্প হয়েছে। এলিয়েনরা পৃথিবীতে ঘুরে যায়। তাদের দেখা যায় এমন কথাও হয়েছে-হচ্ছে। এতদিন এলিয়েনরা নিজেরাই যখন খুশি আসতো। কিন্তু এবার আর মানুষ তাদের ছেড়ে কথা বলবে না। এবার মানুষও শুরু করবে এলিয়েনের খোঁজ। আর সে জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির রেডিও টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে।

দক্ষিণ চিনের গুইঝু অঞ্চলে এই টেলিস্কোপের কাজই হবে এলিয়েনদের খোঁজা। দৃষ্টিসীমায় ঢুকে পড়লে ধরা পড়বেই এই টেলিস্কোপের স্ক্রিনে। পাঁচ হাজার মিটার ব্যাসের এই রেডিও টেলিস্কোপের ভিত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পাশাপাশি কয়েকটি পাহাড়।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এই খবর দিচ্ছে।

টেলিস্কোপটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি অর্থে যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৪১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। নতুন এই টেলিস্কোপ নির্মাণের পর পিছিয়ে পড়লো পোর্টো রিকোর অ্যারেকিবো অবভারভেটরি নামের টেলিস্কোপের শ্রেষ্ঠত্ব। বলা হচ্ছে চীনের নতুন এই সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ ৩০টি  ফুটবল মাঠের সমান।

৫০০ মিটার ব্যাসের জন্য এর নামও দেওয়া হয়েছে ফাস্ট (ফাইভ-হান্ড্রেড-মিটার অ্যাপারেচার-স্ফেরিকাল রেডিও টেলিস্কোপ)।
ফাস্টের কাজই হবে মহাকাশে কোনও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকলে তা খুঁজে বের করা।

চীন মহাকাশভিত্তিক এই কর্মসূচিকে তাদের একটি বড় অগ্রগতি হিসেবেই দেখছে। ২০২০ সালের মধ্যে চীন মহাকাশের কক্ষপথে একটি স্থায়ী স্টেশন বসানোর কাজ শেষ করতে চায়। যার মূল লক্ষ্য থাকবে চাঁদে মানুষ পাঠানো।

এর আগে সিনহুয়া চীনা মহাকাশ গবেষণা সোসাইটির মহাপরিচালক উ জিয়াংপিংকে উদ্ধৃত করে জানায়, এই টেলিস্কোপের উচ্চ মাত্রার সংবেদনশীলতা গ্যালাক্সির বাইরেও যদি কোনও বুদ্ধিমান প্রাণী থাকে তা নির্দেশ করতে পারবে।

ফাস্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। মহাকাশ পর্যবেক্ষণ নির্বিঘ্ন করতে ওই এলাকার ১০ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে বড় কোনও বাঁধ, সেতু কিংবা খাল তৈরির জন্যই চীন মানুষকে পুনর্বাসন করেছে। এই প্রথম মহাকাশ গবেষণার জন্য এমনটা করা হলো।

এলাকাটি অপেক্ষাকৃত প্রত্যন্ত ও দরিদ্রদের বসবাসের ছিলো। এর আগে সিনহুয়া অপর খবরে জানিয়েছে, আশে পাশে কোনও শহর এলাকা না থাকার কারণেই এই পাহাড়গুলোকে টেলিস্কোপটি বসানোর উপযুক্ত এলাকা হিসেবে ভাবা হয়।

সূত্র: বাংলা নিউজ