এলএনজি কিনতে ভেঞ্চার গ্লোবালের সঙ্গে এক্সিলারেট এনার্জির চুক্তি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভেঞ্চার গ্লোবাল এলএনজির সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানীকৃত এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন কাজে নিয়োজিত ওই দেশের এক্সিলারেট এনার্জি এলএনজি কেনার বিষয়ে ২০ বছরমেয়াদি একটি সেলস অ্যান্ড পারসেজ চুক্তি (এসপিএ) করেছে।

চুক্তির আওতায় এক্সিলারেট এনার্জি লুইসিয়ানায় ভেঞ্চার গ্লোবালের প্লাকুমাইনস প্যারিশ এলএনজি অবকাঠামো থেকে বছরে সাত লাখ টন এলএনজি ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) ভিত্তিতে ক্রয় করবে। এতে করে রিগ্যাসিফিকেশন সার্ভিসের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের গ্রাহকদের কাছে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির সুযোগ দেখছে এক্সিলারেট। আজ শনিবার এক্সিলারেট এনার্জি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক্সিলারেট এনার্জির ১০টি এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন অবকাঠামো বা এফএসআরইউ রয়েছে। অন্যদিকে ভেঞ্চার গ্লোবাল, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাদের প্রথম এলএনজি প্লান্ট থেকে এলএনজি উৎপাদন শুরু করে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের প্লাকুমাইনসে বার্ষিক ৬০ মিলিয়ন টন উৎপাদন সক্ষমতার আরো একটি এলএনজি প্লান্ট নির্মাণ করছে।

চুক্তি সম্পর্কে এক্সিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘ভেঞ্চার গ্লোবালের সঙ্গে কৌশলগত এই নতুন অংশীদারত্বে প্রবেশ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই চুক্তি বিশ্বব্যাপী আমাদের গ্রাহকদের কাছে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি সুরক্ষা বাড়ানো এবং জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে জোরালো করবে।

‘আমাদের অগ্রগতির কৌশল বাস্তবায়নে এই চুক্তি এক্সিলারেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ভেঞ্চার গ্লোবালের মতো শক্তিশালী অংশীদারদের সঙ্গে এমন বৈচিত্র্যময় এলএনজি সরবরাহ পোর্টফোলিও আমাদেরকে ডাউনস্ট্রিম মার্কেটের বিদ্যমান এবং নতুন গ্রাহকদের আরো সহনীয় এবং সাশ্রয়ী পণ্য সরবরাহে সহায়তা দিবে।’ আরো জানান কোবোস।

ভেঞ্চার গ্লোবাল এলএনজির নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক সাবেল বলেন, ‘যাত্রার শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি ক্রেতা হিসেবে এক্সিলারেটের তো এফএসআরইউ শিল্পের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই নতুন সহযোগিতা শুরু করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।’

তিনি বলেন, ‘তাদের দূরদর্শিতা এবং জ্বালানি রূপান্তমূলক কাজ ইউরোপ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ছেড়ে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সক্ষম করে তুলছে, যা লাখ লাখ মানুষকে জ্বালানি দরিদ্রতা থেকে বের করে এনেছে। বিশ্বব্যাপী এই বৈচিত্র্যময় বাজারে জ্বালানি সরবরাহে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আমরা একসঙ্গে বহু বছর কাজ করার প্রত্যাশা করছি।’ সূত্র:কালের কণ্ঠ