এর চেয়ে বেশি কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই: লিটনপত্নী সঞ্চিতা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিশ্বের ক্রীড়াবিদরা। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এ খবর দিয়েছেন টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাস। তার স্ত্রী সঞ্চিতাও পিছিয়ে নন। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, সংকটময় সময়ে গরিব-দুঃখীদের সাহায্যে তাকে ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন লিটন।

বুধবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে পলিথিনের ব্যাগে প্যাকেট করা খাবারের ছবি পোস্ট করেন সঞ্চিতা। নিচে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই। সাহায্য করারও কেউ নেই। শেষ মুহূর্তে আমরা যতটুকু পেরেছি, কেনার চেষ্টা করেছি। কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ এখন ঘরে নিজেকে আটকে (কোয়ারেন্টিন) রাখার সময়। দয়া করে অন্যদের সাহায্য করতে যা যা সম্ভব করুন। আপনার এ সাহায্য বাকিদের জীবনে আশীর্বাদ বয়ে আনুক।

এর পর একই লেখায় আলাদা একটি লাইনে সঞ্চিতা লেখেন– লিটন, এ সংকটময় মুহূর্তে তুমি আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছ, তা কখনও ভুলব না। ধন্যবাদ। স্ত্রীর প্রায় একই সময়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বেশ বড় পোস্ট করেন লিটনও। যারা মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে ক্রিকেটারদের উদ্যোগ। এর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এ রোগ-প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে। সেটির অংশ হিসেবে আমরা ক্রিকেটাররা একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যেটি হয়তো অনুপ্রাণিত করতে পারে আপনাদেরও। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ও গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আমরা মোট ২৭ ক্রিকেটার এক মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করেছি। এ তহবিল ব্যয় হবে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সাধারণ মানুষ, যাদের গৃহবন্দি থাকাবস্থায় জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। কর কেটে থাকবে ২৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার আরও লিখেছেন, করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এ উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে, সবাই যদি একসঙ্গে এগিয়ে আসেন কিংবা ১০ জনও যদিও এগিয়ে আসেন, এ লড়াইয়ে আমরা অনেক এগিয়ে যাব।…টাকা দিয়ে না হোক, হতে পারে দুস্থ মানুষকে খাবার কিনে দিয়ে। আসুন, পুরো দেশকে আমরা একটি পরিবার ভেবে চিন্তা করি এবং এ বিপদে সবাই সবাইকে সহায়তা করি।