এরদোগানের বাড়ির কাছে আটক নাগরিকদের নিয়ে যা জানাল ইসরাইল

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বাড়ির ছবি তোলায় আটক ইসরাইলি দম্পতি গুপ্তচর নয় বলে দাবি করেছেন ইহুদিবাদী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তিরা ইসরাইলের কোনো এজেন্সির হয়ে কাজ করছে না।  ওই দম্পতিকে দেশে ফেরানোর জন্য তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার ইস্তানবুলের কামলিকা টাওয়ার থেকে তারা এরদোগানের বাড়ির ছবি তোলেন। টাওয়ারের রেস্টুরেন্ট সেকশনের এক কর্মচারী ওই ইসরাইলিদের ছবি তুলতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানান, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তিনি আটক দুই নাগরিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটককৃতদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়ে তাদের অবহিত করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে অবিলম্বে একটি সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে জোরালো প্রচেষ্টা চালানো হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি গুপ্তচর আটক নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তুরস্কে।

অক্টোবরেও বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে অন্য দেশের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।

এ অভিযানে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে কমপক্ষে ১৫ ব্যক্তি আটক হন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশটির আইনানুযায়ী ১৫ থেকে ২০ বছরের জেল হতে পারে।

ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, কেনিয়া ও সুইজারল্যান্ডে মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমে এই গুপ্তচররা মোসাদের ফিল্ড অফিসারদের তথ্য ও নথি সরবরাহ করেছিলেন। তুরস্কের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে গবেষণায় যুক্ত ছিল তারা। এসব তথ্য তারা মোসাদের কাছে পাঠাতো।

মোসাদের এ চক্র ছাড়াও কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্ত গুপ্তচরদের আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে ইরান, রাশিয়া, ইউক্রেন ও উজবেকিস্তানের নাগরিক।

 

সূত্রঃ যুগান্তর