এবার চীনা পণ্য বর্জনে ভারতীয়দের ক্যাম্পেইন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘে মাসুদ আজাহার সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ নিষিদ্ধের প্রস্তাবে চীনের ভেটোকে কেন্দ্র করে দেশটির পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে ভারতীয়রা।

ভারতের ১শ’র বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী চীনা পণ্য বর্জনে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ ভেটো দেয় বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশালী দেশ চীন।

ভারতীয়রা হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখছে ‘বয়কট চীন’, ‘বয়কট চীন পণ্য’। ভারতের ব্যবহারকারীরা টুইটারে তাইওয়ান, কোরিয়া ও চায়নার পণ্য বর্জনের আহ্বান জানায়।

এদিকে অন্য ব্যবহারকারীরা একটি ছবি পোস্ট দেয় এতে লেখেন, আমরা চাই ভারতীয় দলের জার্সিতে চীনা তৈরি অপো মোবাইলের লোগো যেন না থাকে এবং বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে বয়কট করুক ভারত।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ৪৯ জওয়ান নিহত হওযার দায় স্বীকার করেছে জইশ। এর পর থেকে পরমাণুশক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

এক বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা ভেটোতে তারা হতাশ।

ভারত জানায়, আমাদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী নেতাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সব উপায়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে।

মাসুদ আজহারের ওপর অস্ত্র, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং তার সম্পদ জব্দ করতে নিরাপত্তা পরিষদের ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৫ সদস্যের ওই কমিটি পরিচালিত হয়।

কিন্তু তিন পরাশক্তির প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন। মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবে সমর্থনে দেশটি কোনো কারণ খুঁজে পায়নি বলে জানিয়েছে।

২০১৬ ও ২০১৭ সালেও এই জইশ নেতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়েছিল চীন।

বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সহায়তা সংস্থাগুলোর নীতি ও প্রক্রিয়া অনুসারে আলোচনা চালাতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, আজহারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় চীন যদি অব্যাহতভাবে ভেটো দিয়ে যায়, তবে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যরা ভিন্ন পদক্ষেপের দিকে এগোবে।

ওই কূটনীতিক বলেন, জইশকে আল কায়েদাসংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ। কাজেই মাসুদ আজহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া অপরিহার্য।

জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রথমে ভারতবিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হলেও পরে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ২০০১ সালে এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে জাতিসংঘ।