‘একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হামলা, মামলা দিয়ে দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন, দুদকসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে আওয়ামী সরকার। জনমত উপেক্ষা করে সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৭টি দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচনকে মোটামুটি সুষ্ঠু ধরা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচনে তার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেজন্য তারা দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন চায়। বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এখন দেশের জনগণের দাবি। ফলে সরকার একতরফা নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে সংকট নিরসনের পরিবর্তে আরও ঘনীভূত হবে। বাস্তবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। রিজার্ভ কমে ১৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। লুটপাট, দুর্নীতি সর্বত্র চলছে। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম পাগলা ঘোড়ার মতো বেড়েই চলছে। প্রায় ১২ কোটি মানুষ তাদের চাহিদা মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছে না। পোশাক শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে আন্দোলনে নেমে ৪ জনকে জীবন দিতে হয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলে মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এইচ/আর