একটি ব্রীজ বদলে দিতে পারে বাঘার ২০টি গ্রামের ভাগ্যের চাকা

আমানুল হক আমান, বাঘা:

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর, কুশাবাড়িয়া, জোতরঘু, হামিদকুড়া, নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর, বাঁশবাড়িয়া, কালিকাপুর, দোবিলা, মুন্সিপাড়া, কৈচারপাড়া, করমদশি, ভিতরভাগ, মাঝপাড়া, গৈলারঘোপসহ ২০ট গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে পদ্মার শাখা নদী বড়াল।

 

এই সকল গ্রামের প্রধান অন্তরায় বড়াল নদী। প্রতিদিন নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে হয় এসব  মানুষদের। এছাড়া দুই কিলোমিটার পথ ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এই নদীর ওপর একটি ব্রীজ বদলে দিতে পারে বাঘার ২০টি গ্রামের ভাগ্যের চাকা ।
এসব গ্রামের আশপাশের গ্রামগুলেতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। শিক্ষার আলো অনেক আগেই এই সকল গ্রামে পৌছে গেছে। গ্রামগুলো সবজি চাষেও বিখ্যাত।

 

এই গ্রামগুলোতে বেগুন, পটল, আলু, করলা, শিম, মুলা, গাজর, টমেটো, বরবটি, মসলা জাতীয় ফসল মরিচ, হলুদ, পিয়াজ, রসুন, আদা, ফলের মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, বরই, পেয়ারার চাষ হয়ে থাকে।
এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব কৃষিপন্য বিক্রি হয়। ”জামনগর বড়াল নদীর উপর ব্রিজ” না থাকায় গ্রামগুলোতে উৎপাদিত কৃষিপন্য খুব কম দামে নিজ এলাকায় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হয়।
এদিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী একটি বিখ্যাত হাট। যা জামনগর গ্রাম থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে। আড়ানী হাট থেকেই ব্যবসায়ীরা ট্রাকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে এসব কৃষিপন্য নিয়ে যায়। কিন্তু এই সকল গ্রামের প্রধান অন্তরায় বড়াল নদী। প্রতিদিন নৌকায় নদী পার হয়ে আড়ানীর হাটে যেতে হয় এলাকার মানুষদের। এছাড়া দুই কিলোমিটার পথ ৫/৬ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।

 

মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নৌকার আশায়। অথচ একটি ব্রীজ বদলে দিতে পরে ২০টি গ্রামের ভাগ্যের চাকা। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা এলাকাবাসির দাবির মুখে ব্রীজটি করার প্রতিশ্রুতি দেন। ক্ষমতায়নের পর কেউতা বাস্তবায়ন করেনি। মালামাল পারাপারের সময় প্রায় দূর্ঘটনার শিকার হন।

 
হামিদকুড়া গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ব্রীজের অভাবে তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সঠিকভাবে বাজার জাত করতে পারছেন না। এছাড়া প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বেশ কয়েকবার মাপজোক নিলেও পরে আর কোন খবর নাই।
কুশাবাড়িয়া গ্রামের শহিদুজ্জামান শাহিদ বলেন, জামনগর বড়াল নদীর উপর ব্রিজ নির্মান করা হলে ২০টি গ্রামের মানুষ কৃষি পণ্য সঠিক ভাবে বাজার জাত করনের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষ নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারবে।

 
আড়ানী আলহাজ্ব এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবাজ আলী বলেন, মানুষ নৌকায় অনেক কষ্টে পার হতে হয়। নৌকার কারনে অনেক সময় তারা সময় মতো পৌছতে পারে না। ব্রিজটি নির্মান হলে ২০টি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

স/অ