একই রাতে বন্দুকযুদ্ধে ১২ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কুমিল্লা, নিলফামারী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, ফেনি, নেত্রকোনা, নারায়রদনগঞ্জ ও চুয়াাডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।

সোমবার একই রাতে এসব মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।

কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফ ও পিয়ার আলী নামে তালিকাভুক্ত শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের অদূরে বিবিরবাজার অরণ্যপুর (বাজগড্ডা) এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, একটি পাজেরো জিপ, ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমারসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসছে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া, ডিবির ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা, কোতোয়ালির ওসি (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনসহ ডিবি পুলিশের একাধিক টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।

রাত পৌনে ১টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। অভিযানে অংশ নেয়া ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শরীফ (২৬), পিয়ার আলী (২৮) ও সেলিম গুরুতর আহত হন।

তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মাদক ব্যবসায়ী শরীফ ও পিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে মো. শরীফ জেলা সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেষপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

আর নিহত পিয়ার আলী আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদকের মামলা রয়েছে। এদিকে ওই অভিযান চলাকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমার, এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল তানভীর এবং ডিবির এএসআই শাহীনুর আলম আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।