একই রাতে কোপা থেকে বিদায় বার্সা-রিয়ালের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নতুন খেলোয়াড় কেনা ও দলের বর্তমান খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায়। মাঠের বাইরের এসব ঘটনা আড়াল করতে পারতো মাঠের ভেতরের দুর্দান্ত কোনো পারফরম্যান্স।

তা হয়নি! উল্টো বৃহস্পতিবার রাতে কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় আরও কঠিন হয়েছে কাতালুনিয়ান ক্লাবটির পরিস্থিতি। শেষ আটের ম্যাচে অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছেন লিওনেল মেসি, টের স্টেগানরা।

একই রাতে অভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদেরও। তারা হেরেছে রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে। সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৩-৪ ব্যবধানে হেরে, টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

যার ফলে স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসর কোপা দেল রে’তে শেষ আটেই থেমে গেলো দুই সেরা ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের যাত্রা। আগেই থেমেছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়া। সবাইকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে গ্রানাডা, মিরান্ডেস, অ্যাটলেটিকো বিলবাও এবং রিয়াল সোসিয়েদাদ।

barca.jpg

বিলবাওয়ের মাঠে খেলতে নেমে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পুরো সময়েই বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিলো বার্সেলোনা। বেশ কিছু জোরালো আক্রমণও করেছিল তারা। কিন্তু পায়নি জালের দেখা। উল্টো পুরো ম্যাচে লিওনেল মেসিসহ বার্সার মোট ৬ খেলোয়াড় দেখেন হলুদ কার্ড।

ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকায় মনে হচ্ছিলো খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কিন্তু মূল ম্যাচেরই অতিরিক্ত যোগ করা পাঁচ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় মিনিটে বিলবাওকে মহা মূল্যবান গোল এনে দেন ইনাকি উইলিয়ামস। সেমির টিকিট পেয়ে যায় বিলবাও।

অন্যদিকে নিজেদের ঘরের মাঠেই রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হেরে বসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার মতো তারাও অনেক এগিয়ে ছিলো বল দখলের লড়াইয়ে। কিন্তু কাজের কাজ গোল বেশি করেছে সোসিয়েদাদ। যে কারণে বিজয়ীর হাসি দেখা গিয়েছে তাদেরই মুখে।

দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেছেন সোসিয়েদাদের অ্যালেকজান্ডার আইজ্যাক। মূলত তখনই ছিটকে যায় রিয়াল। এর আগে ও পরে সোসিয়েদাদের পক্ষে ১টি করে গোল করেন মার্টিন ওডেগার্ড ও মিকেল মেরিনো। রিয়ালের পক্ষে গোল ৩টি করেন মার্সেলো ভিয়েরা, রদ্রিগো এবং নাচো।