“ঋতুকন্যা হেমন্ত”

মনিরুজ্জামান শেখ রাহুল

সকালটি ছিল হেমন্তের হিম শীতল,
পথে গুটিকয়েক পথিকের চলাচল।
চোখ মেলেছিলাম সুদূর আকাশে
সূর্যের কিরণ সবে চোখ মেলেছে,
ঋতুর শুরুতে পত্রঝরা ও শেষের পত্রভরা
বৃক্ষেগুলো আনন্দ বাড়িয়েছে।

বালুচরে ছিল কুয়াশার স্বচ্ছ আবরণ,
নদীর ঢেউয়ে ছিল নৃত্যধ্বনির প্রতিফলন।
পুষ্প তার পাঁপড়ি ছড়িয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে
ভোরের দক্ষিনায়নের মিষ্টি রোদ মেখে,
ভ্রোমর কোলে এসেছিল সেদিন
তারই তো মনকড়া সৌন্দর্য দেখে।

পিঠার উৎসবেও মেতেছিল শহুরে সমাজ,
প্রকৃতির ছিল এক অপরুপ বিচিত্র সাজ।
গগণে ছিল সুদীর্ঘ নীলের মাঝে
ছড়িয়ে থাকা শুভ্র মেঘ,
সুপ্রশস্ত জাগতিক তুণভূমিতে ছিল
ঋতুকন্যা হেমন্তের অফুরন্ত বেগ।

কোকিল ডাকছে তার
সুমধুর কুহু কুহু সুরে,
ক্যানভাস পড়েছে এখন
চিত্রশিল্পীদের তুলির আঁচড়ে।

বাঁশি বাজাচ্ছে মনের আনন্দে বাঁশিওয়ালা,
পুথি দিয়ে তরুনীরা তৈরী করছে মালা।
ক্রিকেট মাঠে চলছে চার-ছক্কার রেশ,
তরুনেরা উচ্ছাসিত, উজ্জিবিত আজ বেশ।
শহরের বড় অট্টালিকায় পড়েছে
যেন হেমন্তের শৈল্পিক ছোঁয়া,
হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া
গাড়িগুলোর ছিল ক্ষীণ ছায়া।

একটু শীত লাগছে, তবে কি করব?
গয়ে উঠালাম ফুলহাতা গেঞ্জি,
প্রকৃতির সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আমি
দেখলাম প্রকৃতির সৌন্দর্যের পুঞ্জি।