ঋণের দায়ে তানোরের শিক্ষক শুকুমার চন্দ্র বাড়ী ছাড়া

তানোর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে এনজিওর ঋণের দায়ে শুকুমার চন্দ্র দাস নামের এক শিক্ষক প্রায় এক মাস ধরে বাড়ী ছাড়া। তিনি উপজেলার শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। পেশা বলতে একটি শিক্ষকতা, এ ছাড়া তার অন্যকোন পেশা নেই তার। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন এনজিও’র ঋণের দায়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

চক্রবৃদ্ধি হারে সুদসহ মূলধন পরিশোধ করতে গিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে অনেকে হয়েছে বাড়ি ছাড়া। এনজিওর ঋণের দায়ে আবারও শতশত লোকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে ঋণ খেলাপীর মামলা।

জানা গেছে, বিভিন্ন এনজিওর ঋণের দায়ে শুকুমার চন্দ্র দাসের অবস্থা একই। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদসহ মূলধন পরিশোধ করতে গিয়ে তিনি নি:স্ব হয়ে গেছেন। শারীরীক অসুস্থ্যতা কাটিয়ে উঠতে গিয়ে তিনি অনেক অর্থ ব্যায় করেছে। তার সংসার টানা পোড়নের মধ্যে চলছে। ১১টি এনজিও’র তার কাছ থেকে সুদেআসলে পাবে প্রায় ২০ লাখ টাকা। অপর দিকে সোনালী ব্যাংককে ঋণ সাড়ে ৪ লাখ টাকা থাকায় স্কুলের প্রতিমাসের বেতন থেকে ঋণের টাকা কেটে নেয় ব্যাংক। বিভিন্ন এনজিও’র চক্রবৃদ্ধি সুদসহ টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।

শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র দাসের স্ত্রী শ্রীমতি মালতি রানী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়িতে অসুখ বিসুখ ও পারিবারিক অস্বচ্ছলতা থাকার কারণে ধীরে ধীরে তিনি দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। এর কারণে বিভিন্ন এনজিও ও গ্রাম্য মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রায় এক মাস বেশি তিনি বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। তার কোন হোদিস পাচ্ছিনা। তিনি অসুস্থ্য কি অবস্থায় রয়েছে। কোথায় আছেন জানিনা। আমরা মানবেতর অসহায় জীবন যাপন করছি।

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী জানান, কোন এনজি’ও যদি সরকার নির্ধারিত মুনাফার চেয়ে গ্রহকদের কাজ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে। আর সে বিষয়ে যদি কেই কোন অভিযোগ দেয়। তাহলে সেই এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । শিক্ষক শুকুমার চন্দ্র দাস এর বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান তিনি।

স/অ