উৎসবের আমেজে রাজশাহীতে পালিত হচ্ছে বড়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নানা উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পালিত হচ্ছে খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। আজকের দিনে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ঈশ্বরপুত্র যীশু এসেছিলেন পৃথিবীতে। সে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সারা বিশ্বের মানবজাতিকে এগিয়ে আসার জন্য করা হয় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

রাজশাহী বিভাগের ২১ টি ধর্মপল্লীতে একযোগে এ উৎসবটি পালিত হচ্ছে।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিষপ জেরবাস রোজারিও এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ দিনে ঈশ্বরপুত্র যীশু এসেছিলেন শান্তির দূত হিসেবে। আমরা ভালোবাসা দিয়ে এ শান্তি উৎসব পালন করি। বর্তমানে শান্তি,ভালবাসা মিলনের অনেক অভাব রয়েছে। যীশু চান সারা দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। সমগ্র মানবজাতিকে একত্রিত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি একটি বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। সেটি হলো, যীশু যেমন শরণার্থী হয়ে পৃথিবীতে শান্তি এনেছিলেন তেমনি বাংলাদেশে শরনারথী এসেছে। তাদের সেবায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাদের সেবার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।

প্রার্থনা শেষে প্রতিটি গীর্জাতে ধর্মাবলম্বীদের খ্রিষ্টীয় প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এদিকে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্ট পল্লীগুলোতে চলছে নানা আয়োজন। আনন্দ আয়োজন, অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় দিবসটি।

একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে ঈশ্বরের কাছে প্রর্থনা করেন। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।

বড়দিনের উৎসব পালনের লক্ষ্যে আগে থেকেই গির্জা ও এর আশপাশে আলোকসজ্জা করা হয়। বিশেষ প্রার্থনার আয়োজনের লক্ষ্যে প্রার্থনা স্থলে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, গোষালা ঘর। ক্যাথিড্রাল চার্চ ছাড়াও নগরীর প্রোটেস্টেন্ট ও ব্যাপ্টিস্ট গীর্জায় প্রার্থনা করা হয়।

বড়দিনের প্রার্থনায় দেশের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বসবাস করবে এ কামনা থাকছে। আর যারা ভুল পথে পা দিয়েছেন তারা যেন সঠিক ও শান্তির পথে ফিরে এসে সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটে।

স/আর