উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন : পরিবেশ মন্ত্রী

পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই কাজে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে। আজ সোমবার রাতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সুশীলনের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ুাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উত্থাপন করেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষ আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, কালিগঞ্জ উপজেলা সুসমাজ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইয়াসিন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। সরকার উপকূলের উন্নয়নে ডেল্টা প্লাণ প্রণয়ন করেছ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুশীলনের মতো সংগঠনগুলোকে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দূর্যোগের কারণে উপকূলের মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগে আছেন। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রান্তির জনগোষ্ঠির আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে সুশীলন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে মোস্তফা নুরুজ্জামান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক অংশগ্রহণসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন, বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রসার ও নবচেতনার সমাজ বির্নিমাণে বিশেষ অবদান রাখছে ‘সুশীলন’। সংস্থাটি ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে গত ৩০ বছরে সুশীলন ৬৪টি জেলায় ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় ৩৯৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পরিবারকে সহযোগীতা করেছে। যার মধ্যে ১০ লক্ষ পরিবারকে দুর্যোগকালীণ সহযোগিতা দিয়েছে। সবার পিছে ও সবার নিচে পড়ে থাকা মানুষের উন্নয়নে সুশীলনের প্রায় ২০০০ হাজার কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে সুশীলন।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরাবতা পালন করা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ