উদ্বাস্তুদের জন্য সহায়তা চাইলেন তালেবান শরণার্থী মন্ত্রী

আফগান উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি ত্রাণ-সহায়তা চেয়েছে তালেবান সরকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী খলিল-উর-রহমান হাক্কানি।

আলজাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে যেসব মানুষ উদ্বাস্তু হিসাবে বসবাস করছেন, আগামী শীতের আগেই তাদের জরুরি ত্রাণ-সহায়তা দরকার। গত দুই দশকের আফগান যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে।

এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু (আইডিপি) হয়েছে অগণিত। খাবার-পানি ও ওষুধ ছাড়া কার্যত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে তারা।

এদিকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হলে মেয়েদের স্কুল খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আফগানিস্তানে ছেলেদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়। তালেবানের অন্তর্র্বর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অল্পসংখ্যক স্কুল কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে কিছু স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েরা ক্লাসেও যাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের ক্লাস করতে দেখা গেছে। তবে উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়গুলো এখনো খুলে দেওয়া হয়নি।

এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত মেয়েদেরও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতা হারানোর নারীদের স্বাক্ষরতার হার প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে শতকরা ৩০ ভাগ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ ও সমালোচনার মুখে রোববার জার্মানির খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ডার স্পিগেলকে এক সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মেয়েদের শিক্ষার বিপক্ষে নই। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই স্কুল খোলা হবে। তারা কীভাবে স্কুলে যাবে, আমরা কীভাবে তাদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব, সেই বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করছি।’

মুজাহিদ আরও বলেন, আমরা নারীদের কাজেরও বিপক্ষে নই। নারীদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ কেমন হবে। তারা কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা একটি নীতিমালা তৈরি করছেন। এই নীতিমালা তৈরি হলেই নারীরা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর