হিজাব ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী হইচই-এর মধ্যে ভারত আজ বলেছে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হবে না। এদিকে কর্নাটকের বেশ কিছু কলেজের মুসলিম শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছেন, ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতি দিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, যারা ভারত সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন, তারা যথাযথ বাস্তবতা উপলব্ধি করবেন।
তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কর্নাটক রাজ্যের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোশাক কোড সংক্রান্ত বিষয় ওই রাজ্যের মাননীয় হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় পরীক্ষাধীন রয়েছে।
আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো ও প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক নীতি এবং রাজনৈতিকভাবে এসব সমস্যা বিবেচনা করা হয় এবং সমাধান করা হয়।
কর্নাটকের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ড্রেস কোড’ নিয়ে কিছু দেশের মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সে ব্যাপারে বাগচি এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
গতকাল মার্কিন একটি সরকারি সংস্থা যারা বিদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজরদারি করে এবং রিপোর্ট করে; তারা কর্নাটকের সমালোচনা করেছে।
আইআরএফ কর্মকর্তা রাশেদ হোসেন এক টুইটে লিখেছেন, বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করা ধর্মীয় স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রাশেদ।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে কর্নাটকের একটি কলেজের কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। ইস্যুটি বর্তমানে কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতির জন্য কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থানও নিচ্ছেন। হিজাব পরার আইনি স্বীকৃতির জন্য মামলা গড়িয়েছে আদালতে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
