ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ‘পরিকল্পিত মহড়ার’ অংশ হিসেবে শনিবার ব্যালাস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল এবং পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার ক্রেমলিন এ খবর নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
সব ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে বলে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে দাবি করেছে। ওই মহড়ায় বোমারু বিমান এবং সাবমেরিনও ছিল বলে জানা গেছে।
ক্রেমলিনের সিচুয়েশন রুম থেকে ওই মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মস্কোর মিত্রের তালিকায় সদ্য নাম লেখানো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। ক্রেমিলেন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা আরএআই এবং ইন্টাফ্যাক্স এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে।
রাশিয়া এমন এক সময় ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া করল যখন ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা তুঙ্গে।
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আগ্রহের কথা জানায়। এর পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, গত দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে। ইউক্রেনে হামলা করতেই এই সৈন্য সমাবেশ বলেও তাদের অভিযোগ।
মস্কো অবশ্য বারবার বলছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই; ন্যাটোর তৎপরতা থেকে নিজেদের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে তাদের এই প্রয়াস।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যরা মস্কোর এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছে না।
রাশিয়ার সর্বশেষ মহড়ার বিষয়ে এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, শনিবারের অনুশীলন নিয়ে রাশিয়া অবস্থান ‘স্বচ্ছ’ । যথোপযুক্ত জায়গায়গুলোতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটাতে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
সূত্রঃ যুগান্তর