‘উত্তর প্রদেশকে কাশ্মীর, বাংলা হতে দেবেন না’, ভোটারদের আদিত্যনাথ

ভারতের উত্তর প্রদেশের সাত দফার বিধানসভা ভোটের সূচনা হলো বৃহস্পতিবার। প্রথম দফায় পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ১১ জেলার ৫৮ আসনে কভিডবিধি মেনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এদিন ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৬২৩ জন প্রার্থীর।

ভোটগ্রহণের আগের দিন বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রার্থী যোগী আদিত্যনাথ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অবশ্যই ভোট দিন।

আপনার একটি ভোট উত্তর প্রদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। নইলে কাশ্মীর, কেরালা ও বাংলা হতে বেশি সময় লাগবে না উত্তর প্রদেশের। ’

ভোটের ঠিক আগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও জ্বালাময়ী বক্তৃতার জন্য পরিচিত যোগীর এই ইঙ্গিতপূর্ণ, তীর্যক টুইট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটে ১১ জেলার ৫৮ আসনের মধ্যে বিজেপি ৫৩টিতেই জিতেছিল। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বিএসপি ২টি করে পায় আর একটি যায় আরএলডির ঝুলিতে। মুজাফ্‌ফরনগরের দাঙ্গার পর ভোটের মেরুকরণের জেরে জাঠ প্রভাবিত এই এলাকায় পদ্ম-শিবির বিপুল জয় পায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত।

এবার ওই এলাকায় এসপি-আরএলডি জোটের সঙ্গে বিজেপির তীব্র লড়াই হতে পারে বলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।

প্রথম দফার ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ছেলে পঙ্কজ (নয়ডা) এবং উত্তরাখণ্ডের সাবেক রাজ্যপাল বেবিরানি মৌর্য (আগরা) এবং প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের নাতি সন্দীপ (অত্রৌলি)। তাঁরা সবাই বিজেপির প্রার্থী।

উত্তর প্রদেশে আজকের ভোটের পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ ও ৭ মার্চ ভোট নেওয়া হবে। এ রাজ্যে প্রথম দফায় ১১টি জেলার ৫৮টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। এ ছাড়া পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং মনিপুরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ ভোট নেওয়া হবে। এসব রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল একযোগে আগামী ১০ মার্চ প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোট শেষ হবে আগামী ৭ মার্চ। ভোট হওয়া অন্য চার রাজ্যের সঙ্গেই ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ