উত্তরা ব্যাংকের সেই সিবিএ সভাপতিসহ দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে মারধর, নির্যাতন ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যাংকের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জালাল আহম্মদ ও কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মোতালেবকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত সোমবার ব্যাংকের ইউনিয়নের (রেজি:নং বি-১৯৩৬-সিবিএ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোসলেহ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আবু মো আহসানুল হাবিব স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে মারধর ও নির্যাতন করা, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, অসদাচরণ, দলের ভেতর বিভেদ সৃষ্টি, ব্যাংক কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধি অনুযায়ী তাদের সংগঠন থেকে বরখাস্ত ও ইউনিয়নের সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৬ জুন ব্যাংকের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত অফিসার গ্রেড-২ জিয়াউর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ জুন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জালাল আহম্মদ ও আব্দুল  মোতালেবকে আত্মসমর্থনের সুযোগ দিয়ে ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা  কোন জবাব না দেয়ায় ৩০ জুন সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সভাপতি ও কার্যকরী পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় জালাল আহম্মদ, আব্দুল মোতালেব, নূর-ই এলাহি ঈশ্বরদী শাখার শরিফুজ্জামান ও কানসার্ট শাখার আবুল মান্নান জামাদার এসে গ্রেড-২ অফিসার জিয়াউর রহমানকে ইফতার পার্টিতে রাজশাহী  জোনের বিভিন্ন শাখার ভোটারদের ফোন করে আসার জন্য বলতে বলেন। কিন্তু এতে জিয়াউর রহমান অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় জিডি করলে পুলিশ ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা জালাল আহম্মদ, আব্দুল মোতালেব, শরিফুজ্জামান এবং আবুল মান্নানকে আটক করে। পরে রাতভর থানায় আটকে  রেখে পরদিন সকালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

স/আর