উত্তরা গণভবনের গাছ কর্তন: গণপূর্তর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:
নাটোরের উত্তরা গণভবনে ঝড়ে পড়া এবং মরা গাছের পরিবের্ত শতবছরের তাজা গাছ কর্তনের বিষয়ে জড়িত সংশ্লিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি রেকর্ড করেছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। শুক্রবার সকাল ১০টায় উত্তরা গণভবনের মুল প্যালেসে তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি এই কার্যক্রম পরিচালনা করে।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়াউল হক, গণভবনের তত্ত্বাবধায়ক আবুল কাশেম, আব্দুস সবুর তালকুদার, ঠিকাদার সোহেল ফয়সালসহ মোট ১২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা শামিম ভূঁইয়া, নেজারত ডেপুটি কালেকক্টরেট (এনডিসি) অনিন্দ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত কমিটির কাছে জবানবন্দি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গাছকাটা বিষয়ে অভিযুক্ত গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে এই মুহুর্তে গণমাধ্যমের সাথে কোন কথা বলতে যাচ্ছি না।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজ্জাকুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের এবং গাছকাটার সাথে জড়িত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে। তবে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সাম্পতি নাটোরের উত্তরা গণভবনে তিনটি ঝড়ে এবং মরা গাছ এবং ডালপালা কর্তনের টেন্ডার দেয় স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ। সোহেল ফয়সাল নামে যুবলীগের এক কর্মী মাত্র ১৮হাজার ৪’শ টাকায় গাছগুলো ক্রয় করেন। পরে গণভবনে লেকের ধারে থাকা আরো ১৫টি তাজা শতবর্ষী গাছ কর্তন করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১০ থেকে ১২লাখ টাকা।
স/শ