উইঘুর প্রশ্নে মুসলিম নেতৃত্বের নীরবতার পরিণতিতে যা হতে পারে

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত নির্যাতন, নিপীড়নের খবর নতুন নয়। কিন্তু এ বিষয়টিকে নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলিম নেতৃত্বের কেউই তেমন সোচ্চার নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পেন্টাগনের একজন সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন তাঁর এক নিবন্ধে বলেন, চীন কর্তৃক উইঘুরদের ওপর পরিচালিত বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের পর, এর বিরুদ্ধে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া তৈরি না হওয়ার ফলে অন্য দেশ তাদের দেশে মুসলিম সংখ্যালঘুদের একই রকম নিপীড়নের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে।

ওই বিশ্লেষক বলেন, জার্মানিতে হিটলার একই পদ্ধতিতে ইহুদিদের অবরুদ্ধ করেছিল ও সাংস্কৃতিকভাবে নির্মূল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এখন উইঘুরে একই প্রক্রিয়ায় নির্মূলকরণ করছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চীনা লিবারেশন আর্মি ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা হয়তো তাদের গ্যাস চেম্বারে নিক্ষেপ করেনি, কিন্তু সংখ্যালঘু উইঘুর নারীদের ওপর সন্তান গ্রহণে কড়াকড়ি আরোপ করার মাধ্যমে তাঁদের জনসংখ্যার ওপর একই রকম প্রভাব ফেলছে তারা।

কিন্তু এর মধ্য দিয়ে অন্যান্য দেশে নতুন করে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা আরো বাড়তে পারে, কারণ চীনের বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা অন্যদের উৎসাহিত করতে পারে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কিংবা মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ- কেউই উইঘুর প্রশ্নে কোনো কথা বলছেন না। কিন্তু এসব নেতা মুসলিমদের ওপর সারা বিশ্বে পরিচালিত নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার। অথচ চীনা সরকারের দমননীতি নিয়ে তাঁদের কোনো আলোচনাই করতে দেখা যায় না।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ