ঈদে রাজশাহীর জিরো পয়েন্টে তরুণদের মিলন মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদ মানে আনন্দ। আনন্দের উচ্ছাসে নিজেদের আত্মহারা করতে আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার অনুভুতিটাই অন্যরকম। তবে তরুণ সমাজের ঈদ আনন্দটা একটু ব্যতিক্রম। বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা আর ঘোরাঘুরি না হলে যেন ঈদের আনন্দটাই মাটি। তাই দীর্ঘ দিনের পর একত্রিত হয়ে কুশল বিনিময় নিয়ে ব্যস্ত তরুণেরা।

প্রতি বছর ঈদের দিনে নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকাজুড়ে বসে তরুণদের উৎসব। যেখানে ভালোলাগা মন্দ লাগা আর স্মৃতিচারন থাকে বিরতিহীন।

স্কুল কলেজ ছাড়ার পর শিক্ষাজীবন সবার এক সাথে কাটেনা। কিন্তু তাই বলে স্কুল জীবনের বন্ধুগুলোকে ছেড়ে থাকা যায় না। আর তাই ঈদ এলেই সে বন্ধুগুলোকে ফিরে পাবার আশায় এই স্থানটিকেই বেছে নেয় তারা। ঈদের তিনদিন থাকে এই আমেজ। আর তারপর যে যার গন্তব্যে।

ঈদের সন্ধায় জিরো পয়েন্টে এসে দেখা মেলে এমন অসংখ্য দলের। যারা তাদের নিকটতম বন্ধুদের সাথে স্মৃতিচারন করে। কেও ব্যস্ত গোল হয়ে বসে চায়ের আড্ডায়,আবার কেও বাইকে চড়ে শহর বেড়ানোয়। আর সেই সাথে চলে নতুন কিছু মুখের সাথে পরিচয়। আড্ডায় মেতে উঠে পুরো এলাকা।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মোফাসসেরুল ইসলাম রাতুল বলেন, স্কুল জীবনের বন্ধুগুলো সবাই পড়াশোনা বা চাকুরীরর কাজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকে। তাদের সাথে দেখা তো দূর কথাও ঠিক মতো হয় না। বছর ঘুরে দুই ঈদে সবার সাথে দেখা হয়। আর এতেই আমরা বাকি দিনগুলার কথা ভুলে যাই।

জাহিদ হাসান নামে আরেকজন বলেন, শিক্ষাজীবন শেষে চাকুরীর জন্য অনেকে ব্যস্ত থাকে। ঈদের ছুটি হলে সবাই বাসায় ফিরে আসে। কেবল তখনই সবাই একত্রিত হওয়া যায়। আর এখানে আসার কথা কাওকে বলা লাগে না। যে যেখানেই থাকুক ঈদের সন্ধ্যায় জিরো পয়েন্ট সবাই।

ছোটদের ন্যায় স্বজনের বাড়িতে গিয়ে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে না পারলেও শহরের এসব তরুণদের একসাথে পেয়ে ভালোবাসার কমতি থাকে না। দীর্ঘ সময়ের দুরুত্বটা নিমেষেই ঘুচানোর জন্য তরুনেরা এই স্থানটিকে বেছে নেয় তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। সব মিলিয়ে ঈদটা হয়ে উঠে স্মৃতিময়। বন্ধুদের পাশে পেয়ে তরুণদের এই ঈদ যেন মিলনমেলা। আর জিরোপয়েন্ট এর গন্তব্য।
স/শ