ঈদের বাজারে বেড়েছে মসলার ঝাঁঝ

তারেক মাহমুদ:
কোরবানি ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর এই ঈদে বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে অন্যতম মসলা। ঈদে কেনাকাটার একটি বিশেষ অংশ জুরে রয়েছে এই মসলা। প্রতি কোরবারনি ঈদে মাংসের মসলার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয় নি। রাজশাহী নগরীর বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, কমবেশি সকল মসলার দাম প্রতি কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজাশাহীর সাহেব বাজারে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, লং ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, এলাচ ১৬০০ টাকা, গোল মরিচ ১৪৯০ টাকা, বড় এলাচ ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা, চৈত্রী ২০০০ টাকা, যাইফল ৪০০ টাকা, জিরা ৩৬০ থেকে ৪০০টাকা, হলুদ গুড়া ২২০ টাকা, শুকনো গুড়া মরিচ ৩০০টাকা, তেসপাতা ভালো টা ৪০০ টাকা এবং ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মসলা ক্রেতা স্মৃতি বলেন, এবার মসলার দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে, কোরবানি আসলে একটু মসলার দাম বারে। কত টাকা করে বেড়েছে এই কথায় স্মৃতি বলেন, আমি তো বাজার করি না। আম্মু বাজার করেন।

সাহেব বাজারের মশলা বিক্রেতা রুবেল হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে জানান, কোরবানি উপলক্ষেই এই মশলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কুরবানির ঈদের সময়ে আমাদের চাপ একটু বেশি থাকে । কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কাঁচা মশলা ব্যবসায়ীর্ওা ব্যস্ত সময় পার করছেন ঈদকে সামনে রেখে । সাহেব বাজারের কাঁচা মশলা ব্যবসায়ী সজল খান বলেন, কাঁচা মশলা হিসাবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে-৩৬ টাকা,ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২২ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।

এদিকে মৌসুমী মশলা ধনে পাতা হওয়ায় এটি এখন বাজারে অবিরল! তবে কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও দাম লাগাম ছাড়া, বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে । তবে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরে মশলার দাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন বিক্রেতারা।

স/আ