নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আত্মবিশ্বাস না থাকলে সেনা মোতায়েনের দরকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক’র(সুজন) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার । আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর সিএণ্ডবি সংলগ্ন কুকিজার রেষ্টুরেন্টে সুশাসনের জন্য নাগরিক’র(সুজন) পরিকল্পনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা নাগরিকদের কাছে। নাগরিকদের স্বার্থে, নাগরিকদের পক্ষে, নাগরিকদের কল্যানে তারা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের দায়বদ্ধতা অন্য কারো কাছে না। অধিকাংশ নাগরিক মনে করে রংপুরে তারা সঠিক ভাবে দায়িত্বটা পালন করে ব্যাপক জনআস্থা অর্জন করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের এই কার্যক্রম খুলনা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ব্যপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি আশা করবো রাসিক নির্বাচনে তারা নিরপেক্ষতার সাথে, দায়িত্বশীলতার সাথে এবং পক্ষপাত দুষ্টতার উর্দ্ধে উঠে একটি সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিতে পারবে। নির্বাচন সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য না হলে তার মাসুল পুরো জাতিকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন এই দায় এড়াতে পারবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। বরং তারা এমন কিছু কার্যক্রম করেছে, যেমন রিটার্নিং অফিসার সর্বেসর্বা থাকার পরেও তারা সে বিষয়ে কোন তদন্ত না করে রিটার্নিং অফিসারের উপরে আরেকজনকে বসিয়ে দিয়ে তাকে সম্পূর্ণরুপে অকার্যকর করে ফেলেছে যা অভূতপূর্ব। এইসব আচরণ কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য না। খুলনা সিটি করপোরেশনের হলফনামা ও তথ্য় গোপন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের ধারণা ছিল যে, নির্বাচন কমিশন তারা সুষ্ঠ তদন্ত করে দুই দলের প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই করবে। কিন্তু তদন্ত না করে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে।
অত:পর তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে নিয়ন্ত্রনে রাখে তাহলে সেনা মোতায়েন ছাড়াও নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু তাদের মনে যদি আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে তবে সেনা মোতায়েন অবশ্যই হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশনকেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে নগরীর সিএ-বি সংলগ্ন কুকিজার রেষ্টুরেন্ট এ সুজনের পরিকল্পনা সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
স/শ
