ইসরায়েল ও আমিরাতের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক

ইসরায়েল-আমিরাত শান্তি চুক্তির ঘোষণার এক মাস পর আজ প্রযুক্তি বিষয়ক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাথম সহায়তা পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

আজ রবিবার উচ্চতর গবেষণা ও শিক্ষা পরিকল্পনার আদান-প্রদানের জন্য আরব আমিরাতের মুহাম্মাদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইসরায়েলের ওয়েজম্যান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স-এর মধ্যে নানা ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার প্রাথমিক পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়।

গত ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত আমিরাত-ইসরায়েল স্বাভাবিক সম্পর্কের পর প্রথম বারের মতো দুই দেশের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোত স্মারক অনুষ্ঠিত হয়। প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধিতে উভয় দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আশা দেশ দুটি।

শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচীর পরিকল্পনা, কনফারেন্স ও গবেষণা-কম্পিউটিং শেয়ারের জন্য উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝেতা স্মারক অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ও মুহাম্মাদ বিন জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আল জাবির এবং ওয়েজম্যান ইনস্টিটিউট অব সাইন্সের প্রধান অধ্যাপক এ্যালোন চেন।

ড. আল জাবির বলেন, ‘ওয়েজম্যান ইনস্টিটিউট অব সাইন্সের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহায়তার সুযোগকে আমি স্বাগত জানাই।’ কোভিড-১৯ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহারই এ সহায়তার প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ্যালোন চেন বলেন, বলা হয়ে থাকে যে বিজ্ঞানের কোনো সীমানা নেই। আমি খুবই আশাবাদী যে, এ অঞ্চলের বিজ্ঞানীদের মধ্যে সহায়তা চুক্তি উদ্ভাবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবে এবং মানবজ্ঞানকে সব সীমানার অতিক্রম করে দেবে।

ইসরায়েল-আমিরাতের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের পর উভয় দেশের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশ কটি চুক্তি সম্পসন্ন হয়। পর্যটন, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও বিশ্বের ক্রমবর্ধমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নানা বিষয় উভয় দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহায়তা চুক্তির আওতাধীন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ