ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে বাহরাইন-ওমান?

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেখানো পথে এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে বাহরাইন ও ওমান। মধ্যপ্রাচ্যের আরো কয়েকটি দেশ একই পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডলইস্ট মনিটর।

খবরে বলা হয়েছে, বাহরাইন আরব আমিরাতের পথ ধরে শান্তি স্থাপনে রাজি হয়েছে। তবে ঠিক কবে দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

এ ছাড়া গণমাধ্যমটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, উল্লিখিত দেশ দুটির পরে ওমানও ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এখন বেশ কিছু মার্কিন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাহরাইন এবং ওমানও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি করতে পারে।

ওয়াশিংটনে আটলান্টিক কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্যের কর্মসূচির সিনিয়র উপদেষ্টা উইলিয়াম এফ ওয়েচসলার বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের প্রতিবেশীদের দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হয়, বিশেষত যাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে একই পরিস্থিতি দেখা যায়। ফলে আমিরাতের পথে বাহরাইন এবং ওমান দ্রুতই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে আশা করা যায়।’

ছবি : ২০১৮ সালে ওমানের প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাঈদের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

ওয়েচসলার বলছিলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালে ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাঈদকে দেখতে এসেছিলেন। সে সময় দেশজুড়ে বিশাল জনসভায় দুই নেতাকে একমঞ্চে দেখা যায়। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে সুলতান কাবুসের মৃত্যুর পর অপেক্ষাকৃত নতুন সুলতান মাত্র ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। ফলে ইসরায়েলের সাথে ওমানের চুক্তির জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হতে পারে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবাক করা এই ঘটনার পর উপসাগরীয় রাষ্ট্রের মধ্যে বাহরাইন প্রথম ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।

এদিকে মুসলিম দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতার পরও কয়েকটি আরব দেশ আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক চুক্তিকে সমর্থন করায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাতাহ আল সিসিকে ধন্যবাদ জানাই। এ ছাড়া বাহরাইন ও ওমানকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ