ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে পম্পেওর সফরের প্রতিবাদ ফিলিস্তিনের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় আইন পরিপন্থী বলে এর সফরের নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাতিয়াহ।

গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাকাটারিনার সঙ্গে রামাল্লাহ শহরে বৈঠককালে একথা জানান শাতিয়াহ। ফিলিস্তিরেন প্রেসিডেন্সি বিভাগ থেকে প্রকাশি এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।

শাতিয়াহ বলেন, এ সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রীয় আইন ও জাতিসংঘের নির্দেশনার চরম লঙ্ঘন হবে। তাছাড়া এ সফরটি ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকে বৈধতা দেওয়ার একটি উদাহরণ তৈরা করবে।’

অক্সওয়েক্স ওয়েবের খবর মতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে তৈরি বসতি পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডে এটি হবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম পরিদর্শন।

তাছাড়া গত বছরের নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তাঁর প্রশাসন বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে না। তবে অধিকাংশ বিশ্ব নেতারা  ইসরায়েল কর্তৃক জোরপূর্বক ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতিমালার আলোকে ফিলিস্তিন ইস্যুর ন্যায্য সমাধানের দাবী জানান শাতিয়াহ।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে জর্দান নদীর পূর্ব তীর ও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরসহ অসংখ্য ভূখণ্ড দখল করে নেয় ইসরায়েল। এতে প্রায় ছয় লাখের বেশি ইহুদি জনগোষ্ঠী বসবাস করছে।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ