ইসরাইল-গ্রিসের মধ্যে সর্বকালের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তি

ইসরাইল ও গ্রিসের মধ্যকার সর্বকালের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।চুক্তির পর রোববার থেকে ইসরাইল ও গ্রিসের মধ্যে যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে।

ইসরাইল বলছে, দুই দেশের বিমানবাহিনী যৌথ মহড়া শুরুর করায় তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী হবে।

এ চুক্তির মধ্যে অন্তভুক্ত রয়েছে গ্রিসের বিমানবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ রোববার জানান, এতে দেশটির প্রতিরক্ষা ঠিকাদার এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে ২২ বছর মেয়াদি ১.৬৫ বিলিয়নের চুক্তি অন্তভুক্ত রয়েছে।

ইসরাইলের নিজস্ব ফ্লাইট একাডেমির আদলে নির্মিত হবে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে থাকছে  ইতালির তৈরি ১০এম-৩৪৬ এয়ারক্রাফট।

এ ছাড়া গ্রিসের টি-৬ বিমান পরিচালনার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এলবিট। সঙ্গে থাকবে প্রশিক্ষণ, সিমুলেটর ও কারিগরী সাহায্য।

এ নিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছে, আমি নিশ্চিত- এই কর্মসূচি ইসরাইল ও গ্রিসের অর্থনীতিক সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে ও শক্তিশালী করবে। এভাবে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্তরে আরও গভীর হবে।

শুক্রবার সাইপ্রাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের সম্মত হওয়ার পরই প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণা এলো।

সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইসরায়েল, গ্রিস ও সাইপ্রাস সাগরতলে বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। যা তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ককে খেপিয়ে তুলেছে। গত মাসে ইসরায়েল জানায়, তার গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে নৌ মহড়া চালিয়েছে।

সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জাহাজ পাঠিয়ে সম্প্রতি গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় তুরস্ক। সেই বিরোধের মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করল গ্রিস।

 

সুত্রঃ যুগান্তর