ইলেকট্রনিক পণ্যের আলোচিত দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ড

স্যামসাং

ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট স্যামসাং ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম তাদের নিজেদের তৈরি সাদাকালো টেলিভিশন বাজারে ছাড়ে। টেলিভিশনটির আকার ছিল ১২ ইঞ্চি। মূলত এই টেলিভিশন দিয়েই তাদের ইলেকট্রনিকস দুনিয়ায় হাতেখড়ি। এরপর ইলেকট্রনিকস দুনিয়ায় নিজেদের অবস্থান ক্রমেই পোক্ত করে স্যামসাং। ১৯৮০ সালে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করতে শুরু করে।

সনি
জাপানি ইলেকট্রনিকসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি করপোরেশন ১৯৪৬ সালের ৭ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। টোকিও সুসিন কোগিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে সনি শুরু করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে মাসারু ইবুকা টোকিওর একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোর ভবনে ইলেকট্রনিকসের দোকান শুরু করেছিলেন। সংস্থাটি এক লাখ ৯০ হাজার ডলার মূলধন এবং আটজন কর্মচারী দিয়ে শুরু করেছিল। সনি কেভি-১৩১০ টেলিভিশন ১৯৬৮ সালে বাজারে আসে, যা ছিল ট্রিনিট্রন কালার টিভি।

ফিলিপস
১৮৯১ সালে গেরার্ড ফিলিপস এবং ফ্রেডরিক ফিলিপস এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। কনিনক্লিজকে ফিলিপস এন ভি প্রযুক্তি কম্পানির সদর দপ্তর আমস্টারডামে। প্রতিষ্ঠানটির ৬০টির বেশি দেশে প্রায় এক লাখ ২২ হাজার কর্মী রয়েছে। এটি মূলত তিনটি ডিভিশনে বিভক্ত। এগুলো হলো ফিলিপস কনজিউমার লাইফস্টাইল, ফিলিপস হেলথকেয়ার এবং ফিলিপস লাইটিং। ১৯৪৯ সালের ফিলিপস কম্পানির টিভি বাজারে আসে।

ওয়ালটন
২০০২ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে গাজীপুরের চন্দ্রায় এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে গড়ে উঠেছে ওয়ালটন হাইটেক ও ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশন নামের দুটি ফ্যাক্টরি। এ ফ্যাক্টরি থেকে ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুত হয়ে বাজারজাত হচ্ছে দেশজুড়ে।

মাইওয়ান-মিনিস্টার
প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে টিভির উৎপাদন শুরু করে। প্রথমে সাদাকালো টিভি এরপর রঙিন। বর্তমানে বেসিক এলইডি, স্মার্ট এবং ফোরকে টিভি উৎপাদন করছে। ২০০৫ সালে ফ্রিজ অ্যাসেম্বলিং শুরু করে। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ম্যানুফ্যাকচারিং করছে। ২০১৭ সাল থেকে এসি উৎপাদন করছে। এ ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের হালকা ও মাঝারি হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন করছে। সরাসরি প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ এখন মাইওয়ান-মিনিস্টারের সঙ্গে আছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ