সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারত বর্তমানে প্রতিদিন যে পরিমাণ ইরানি তেল ক্রয় করছে, আগামীতেও সেটি অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে। বর্তমানে ইরান থেকে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ ব্যারেল তেল সংগ্রহ করছে ভারত।
দেশটির দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্য দিয়েছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারতের ছাড় পাওয়ার সময়সীমা আগামী মে মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইরান থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এমন একটি সময় এ আলোচনার প্রশ্ন এলো যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
ভারতের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বন্ধের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সুবিধা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে পাঁচশ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় পেত ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার (জিএসপি) সবচেয়ে বেশি ছাড় পাচ্ছে ভারত। ১৯৭০ দশক থেকে জিএসপি ছাড় চালু করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র যদি ভারতকে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দেয়, তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে এটি।
তেহরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কেন্দ্র করে গত নভেম্বরে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানি তেলের সবচেয়ে বড় খদ্দের চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, তুরস্ক, ইতালি ও গ্রিসের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এসব দেশের সরকারকে ইরানি তেল ক্রয় শূন্যপর্যায়ে নিয়ে যেতে চাপ অব্যাহত রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী মে মাসে প্রথম দফা ছাড়ের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।