ইমেল-হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে অবাধে চলছে দেহ ব্যবসা!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সেক্স র‍্যাকেটের পর্দা ফাঁস করল ভারতের পাটনা পুলিশ৷ অগমকুয়া পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত গান্ধীনগর এলাকায় এই বেআইনি দেহ ব্যবসা চলছিল৷ পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দলের মূল পাণ্ডা অঞ্নী কুমারসহ তিন কলগার্লকে আপত্তিজনক অবস্থায় উদ্ধার করে৷ অঞ্জনী কুমার বিহারের ভোজপপুরের বাসিন্দা৷

এ ব্যাপারে পাটনার পুলিশ কর্মকর্তা মনু মহারাজ জানিয়েছেন, এই দলে ১৩ থেকে ২০ বছরের কিশোরীরাও রয়েছে। যাদের বিহার, উত্তরপ্রদেশ, নেপাল পাঠানো হত৷ আটক মেয়েদের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর৷ মেয়েদর গ্রাহক প্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দেওয়া হত এবং দলের পাণ্ডা গ্রাহকের থেকে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা নিত৷ এ ছাড়াও মেয়েদের শহরের বাইরে পাঠানো হলে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হত এবং গ্রাহকের থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হত৷

জানা গেছে, গত শুক্রবার এই দলের সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ ৷পাটনা পুলিশ এসপি জয়ন্ত কান্তের নেতৃত্বে একটি টিম তৈরি করে৷ এই টিমে পাটনার ডিএসপি, অগমকুয়া থানার এসএইচও ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন৷ যে বাড়িতে এই ব্যবসা চলত সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ৷ এ সময় পুলিশ জয়পুরের বাসিন্দা রাজু কুমার, নালন্দার বাসিন্দা মুন্না কুমার ও অঞ্চনী কুমারকে গ্রেপ্তার করে৷

এ ছাড়াও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলভার, ১০টি বুলেট, কন্ডোমের প্যাকেট, পর্ন ফিল্মের সিডি, ওষুধ, অশ্লীল বই ও মদ উদ্ধার করে৷ ইতিমধ্যে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ এই দলের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পাটনা পুলিশ৷

পাটনা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অঞ্জনী জানিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধমে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত৷ ইমেল ও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে মেয়েদের ছবি পাঠাতো৷ গ্রাহকের থেকে তার ঠিকানা নিয়ে মেয়েদের সেখানে পাঠিয়ে দিত৷ এই মামলায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আগমকুয়া থানায় এই মামলার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷
সূত্র: কলকতা টুয়েন্টিফোর